বিদেশে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স এমনকি বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তাহলে জাতীয় নির্বাচনে কেন প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন না? এমন প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসি/কনস্যুলেট অফিসে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে প্রবাসী অধিকার আন্দোলন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে (নিচতলা) এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে যেহেতু প্রবাসীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে সে কারণে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে কারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবেন সে ব্যাপারে প্রবাসীদের মতামত নিতে হবে। তারা বলেন, আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগের দিন এবং যে সব দেশে বাংলাদেশের সাথে সময়ের পার্থক্য কম সেই সব দেশে একই দিনে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে সময়ের পার্থক্য খুব বেশি না, তাই এই সব দেশে একই দিন ভোট হতে পারে।
তাদের দাবি, নির্বাচনের দিন ‘পোলিং বুথ’ স্থাপন করতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস অফিসে। ভোট দেয়ার পর দূতাবাস অফিসে সবার সামনে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ভোটগণনা করতে হবে। ভোটের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন প্রিসাইডিং, পোলিং ও রিটার্নিং অফিসার। সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, বিদেশে কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের নানা ব্যস্ততা থাকায় তারা ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। সেজন্য তাদের জন্য ‘অ্যাডভান্সড ভোটিং সিস্টেম’ চালু করতে হবে।
তারা বলেন, বিদেশে পোস্টাল ব্যালট সিস্টেমে ভোট দেয়া দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল প্রক্রিয়া। তাই ভোটদান প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে ও সময় বাঁচাতে ডিজিটাল বা অনলাইন ভোটিং সিস্টেম চালু করতে হবে। ‘অনলাইনে পোলিং সিস্টেম’ চালু করলেও সেটি যাতে ম্যানুপুলেট বা হ্যাকিংয়ের শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ভোট দেয়ার পদ্ধতি স্মার্ট, সহজ ও দ্রুত করতে হবে জানিয়ে তারা বলেন, ইলেকশন কমিশনের নির্ধারিত ‘অ্যাপস’ ডাউনলোড করে নিবন্ধিত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট দেয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।