ঢাকাসোমবার , ৪ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রযুক্তির সাহায্যে শিশুদের সৃজনশীল স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৪, ২০২৪ ৪:১২ অপরাহ্ণ । ২৩৫ জন

ইমেজিং প্রযুক্তির সাহায্যে শিশুদের জন্য নতুন দিগন্ত প্রসারিত করা এবং তাদের কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করাই এই ‘নতুন প্রজন্মই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ’ প্রকল্পের লক্ষ্য। এসওএস শিশু পল্লী বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বে তিন বছরব্যাপী করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) প্রকল্প ‘নতুন প্রজন্মই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ’ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে ভিভো। গত (২ মার্চ) মিরপুর রোডের শ্যামলীতে অবস্থিত এসওএস শিশু পল্লী ঢাকায় এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

এই প্রকল্পের আওতায় উপকরণ (ইকুইপমেন্ট) ও নগদ অর্থের মাধ্যেম ৮০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভিভোর।

বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিশুদের বিকাশের পথে বাধাগুলোকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে ভিভো শিক্ষালাভের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্সের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়। এ লক্ষ্যে এসওএস শিশু পল্লী বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বে ‘নতুন প্রজন্মই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ’ প্রকল্প নিয়ে এসেছে ভিভো। আগামী ৩ বছরে ভিভো এসওএস শিশু পল্লী বাংলাদেশে ইমেজিং কোর্সের শিক্ষাসামগ্রী হিসেবে ৬০টি স্মার্টফোন দিবে। সর্বমোট অনুদান ৮০ লাখ টাকার বাকিটা নগদ অর্থে দেওয়া হবে।

এই প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে ৬টি এসওএস শিশু পল্লীতে ১৪৪টি পাবলিক ইমেজিং ক্লাসের সুবিধা থাকছে, যা বাংলাদেশের শিশুদের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। এছাড়া, প্রতি বছর নির্দিষ্ট ইমেজিং জার্নি’র আয়োজন করা হবে, যেখানে ভিভোর মেন্টররা সর্বাধুনিক ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুদের ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি শেখাবেন।

ইমেজিং জার্নি’র শেষে ভিভো শিশুদের তোলা ছবিগুলো সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে রাখবে। পরবর্তীতে এসব ছবি দিয়ে একটি পাবলিক সার্ভিস অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও তৈরি করে তা প্রকাশ করা হবে। একইসাথে, তাদের তোলা ছবিগুলো ‘নতুন প্রজন্মই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীতে দেখানো হবে। শিশুদের স্বপ্ন ও সৃজনশীলতা তুলে ধরতে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে এই প্রকল্প। এই উদ্যোগ অন্যদেরও তাদের কল্পনাশক্তির বিকাশে ও স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

এ বিষয়ে চীনা দূতাবাসের কালচার কাউন্সিলর ইউ লিওয়েন বলেন, “কেবল জাতির স্তম্ভ হিসেবেই এই শিশুরা গড়ে উঠবে না, বরং জ্ঞান অর্জন ও অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদেরকে বিকশিত করে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করবে।”

আয়োজনে চীনা দূতাবাসের কালচার কাউন্সিলর ইউ লিওয়েনের (বিশেষ অতিথি) পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন সিইএবি’র (চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ) আইসিটি ব্রাঞ্চ এক্সিকিউটিভ ইউ ইং এবং সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকার।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ভিভো’র পক্ষ থেকে ভিভো বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর লি কিংইয়াং ও ফ্যাক্টরি ম্যানেজিং ডিরেক্টর চেং শেংগুই এবং এসওএস শিশু পল্লী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ড. এনামুল হক ও তার দল উপস্থিত ছিলেন।

একইসাথে, ‘নতুন প্রজন্মই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ’ প্রকল্পের মেন্টর ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রধান খন্দকার তানভীর মুরাদও অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।