বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্টে (বিসিএপি) ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পে আইডিএ ক্রেডিটের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে, পাশাপাশি জাতীয় বায়ু মান নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিচ্ছন্ন রান্নার উদ্যোগগুলোর জন্য সম্ভাব্য অনুদানও দেওয়া হবে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ বিষয়ক কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’ তৈরিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ঢাকার খালগুলো পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার আহ্বান জানান।
তিনি ক্ষয়ক্ষতি তহবিলে সহায়তার পাশাপাশি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়নে সহায়তার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন।
পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সমন্বিত পদ্ধতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন রিজওয়ানা।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার উন্নত পরিবেশ নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে বৈশ্বিক সেরা অনুশীলনের সঙ্গে এই প্রচেষ্টার সমন্বয়ে তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
আবদৌলায়ে সেক দীর্ঘমেয়াদি টেকসই লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং কৌশলগত বিনিয়োগের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন।
বৈঠকে পরিবেশ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যতের দিকে কাজ করার পারস্পরিক লক্ষ্য নিয়ে পরিবেশগত শাসন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় গভীর সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনা শেষ হয়।