চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের সহজ গন্তব্য ছিল ভারত। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশটির পক্ষ থেকে সেখানে বাংলাদেশিদের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য অসুস্থ হয়েও ভিসা জটিলতার কারণে ভুগছেন বাংলাদেশিরা। এতে বৃহৎ অর্থনৈতিক মুনাফা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে ভারতীয়রা।
এ অবস্থায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য চীনের কুনমিংকে বিকল্প হিসেবে ভাবছে সরকার।
চীন সফর থেকে ফিরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এমন বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, চীনের ভিসা সহজ করা এবং ভিসা ফি কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের অনুরোধে কুনমিংয়ের তিন থেকে চারটি বিশেষায়িত হাসপাতালকে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় একটি বিশেষায়িত চীনা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছে দেশটি।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কোলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলো দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বাংলাদেশের রোগীদের সেবা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের যে বিশাল আয়ের উৎস তৈরি হয়েছিল, তা এখন প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কোলকাতার হাসপাতালগুলোর হিসেবে, বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে। এই ক্ষতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলো প্রথমে এটি সাময়িক বলে মনে করেছিল। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কে ক্রমাগত অবনতির ফলে তারা এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন গিয়েছিলেন। একে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মেরূকরণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বৈঠকে আগামী মার্চে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বিনিয়োগ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা স্বাভাবিক পথে এগিয়ে নেয়ার বার্তা দিচ্ছে চীন।