ঢাকাসোমবার , ৭ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৭, ২০২৪ ৩:৩০ অপরাহ্ণ । ২৫ জন

বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি আর্লিংটন ও ভার্জিনিয়া। এই অনুদান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হিমাগারের সরবরাহ ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক স্থাপনে সহায়তা করবে। রবিবার (০৬ অক্টোবর) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যা আজ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রস্তুত খাদ্য এবং কোল্ড চেইন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বণ্টন ফুডস লিমিটেডকে (বণ্টন ফুডস) সম্ভাব্যতা সমীক্ষার জন্য অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ইউএসটিডিএ)। এ অনুদান বাংলাদেশে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হিমাগারের সরবরাহ ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক স্থাপনে সহায়তা করবে। সমীক্ষার লক্ষ্য হল দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্যের খরচ এবং ক্ষতি কমানো, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে। বণ্টন ফুডস মিনেসোটাভিত্তিক ল্যান্ড ও লেকস ভেঞ্চার ৩৭-কে এই সমীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্বাচন করেছে।

ইউএসটিডিএ’র পরিচালক এনোহ টি ইবং বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ সহজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বণ্টন ফুডসের সাথে আমাদের এই অংশীদারিত্ব মূলধন সংগ্রহে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োগ করবে। তাজা খাদ্যের প্রাপ্যতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, আমরা তা দেখাতে পারবো বলে আশাবাদী।

বাংলাদেশের ৩০০টিরও বেশি স্থানে মোট ২.৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন সক্ষমতার হিমাগার আছে। কিন্তু দেশের বর্তমান কোল্ড চেইন শিল্প চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। এর ফলে প্রাণীজ প্রোটিন এবং শাকসবজি সাধারণত কাঁচাবাজারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যেখানে প্রায় কোনো যান্ত্রিক রেফ্রিজারেশন ব্যবস্থা নেই, যা খাদ্য নষ্ট এবং ক্ষতির কারণ হতে পারে। ইউএসটিডিএ-এর অর্থায়নে পরিচালিত এ সমীক্ষা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তৃতীয় পক্ষের সরবরাহ ব্যবস্থায় হিমাগার সুবিধা সমন্বিত নেটওয়ার্ক নির্মাণের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করবে।

বণ্টন ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, দেশের বিশাল জনসংখ্যা শুধু বৃহত্তর ঢাকাতেই ২ কোটি মানুষ বসবাস করে। বাড়তে থাকা উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং ভোক্তাদের বদলে যাওয়া ধরন কোল্ড চেইন শিল্পের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। আমরা ছোট ও মাঝারি কৃষি ব্যবসা, সেইসাথে আন্তর্জাতিক খাদ্য আমদানিকারক ও রফতানিকারকদের জন্য তৃতীয় পক্ষের লজিস্টিক সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাজারে আমাদের অবস্থানকে কাজে লাগাতে আগ্রহী।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সার্জে দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ বলেন, বাংলাদেশে যথাযথ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত সরবরাহ ব্যবস্থার অভাবে ফসল কাটার পর ক্ষতি হয়, যা খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলে এবং কৃষি ও ভোক্তা পণ্যের বাণিজ্যকে সীমিত করে। কোল্ড চেইন অবকাঠামো বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনকারীদের তাদের কৃষি পণ্যের নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিত করে রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার সুযোগ দেবে। এই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা কোল্ড চেইনে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করবে, যা বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তা চাহিদা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের হিমায়িত পণ্যের জন্য একটি স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।

ইউএসটিডিএ-এর এই সমীক্ষা বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অগ্রাধিকার যেমন “ফিড দ্য ফিউচার” উদ্যোগের লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিতে সহায়ক। উদীয়মান অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ও পরিষেবা রফতানির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ইউএসটিডিএ)। ইউএসটিডিএ প্রকল্প প্রস্তুতি ও অংশীদারিত্ব গঠন কার্যক্রমে অর্থায়নের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাকে রফতানির সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে, যা টেকসই অবকাঠামো এবং অংশীদার দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এনে দেয়।