বাংলাদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে ভারতের সরকারি রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) বেসরকারি খাত থেকে প্রতিকেজি ২৯ রুপিতে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্প সূত্র।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিন মাসেরও বেশি সময় রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর এই প্রথম ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে অনুরোধ করা দেশগুলোতে ৬৪,৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার।
এর আগে, দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল করতে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। পরে যদিও দেশটির স্থানীয় বাজারে দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে, কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজের অনুপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যায় এই নিত্যপণ্যের দাম। বিশ্বব্যাপী দেখা দেয় ঘাটতিও।
রমজানে ভারতীয় পেঁয়াজের পুরনো ক্রেতা বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।
সম্প্রতি ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা সেদেশের সরকারকে দেওয়া এক চিঠিতে দাবি করে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বিপুল পরিমাণ পেয়াজ– যা স্বাভাবিক সময়ে বাণিজ্যের ৫০ শতাংশেরও বেশি– দেশের বাইরে পাচার হয়েছে।
বর্তমানে, মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭ থেকে ১৬ রুপি।
রবি মৌসুমের ফসল ওঠার সাথে সাথে দাম আরও কমতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
তবে বাংলাদেশে রপ্তানিতে পেঁয়াজের দাম কত হবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি এনসিইএল।