ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও জোরদার হবে : পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৬, ২০২৪ ১২:২৬ অপরাহ্ণ । ৪৮ জন

পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের ভিত্তিতে আগামী দিনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের সহযোগিতা করতে চায়৷ আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই। এই বৈঠকে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী।

বুধবার (১৫মে) যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিনা মূল্যে রিয়াল টাইম স্যাটেলাইট ডেটা অফার করার পরিকল্পনা করেছে। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, দূষণ, এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং সবুজ ও জলবায়ু প্রযুক্তির অগ্রগতি, অর্থায়নে সহায়তা কামনা করা হয়েছে। এসকল লক্ষ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও আলোচনা করা হবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তারা কীভাবে আমাদের সহযোগিতা করবে সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। আমি আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় তারা আমাদের চাহিদার কথা মাথায় রাখবে। তিনি বলেন, আলোচনায় পরিবেশগত ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যগণ হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস; দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর চিফ অফ স্টাফ নাথানিয়েল হাফ্ট; নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো অফিসের রাজনৈতিক ইউনিট প্রধান সারাহ অলড্রিচ; ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কাউন্সেলর আর্তুরো হাইন্স, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল ইউনিট চিফ শেরিন ফিটজেরাল্ড এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথু বেহ প্রমুখ।