ঢাকাশুক্রবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে রফতানি হলো ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ । ১৫ জন

সড়ক পথের চারদেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে আরও ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা হয়েছে নেপালে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্দরটি দিয়ে থিংকস টু সাপ্লাই ও লোড বাউন্ড লজিস্টিকসসহ কয়েকটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু রফতানি করেছে বলে জানা গেছে।

রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ফ্রেশ আলুগুলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও নীলফামী থেকে সংগ্রহ করে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ১৬টি ট্রাকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে নিয়ে আসে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে যায়। প্রতি ট্রাকে ২১ টন আলু ছিল।’

উজ্জ্বল হোসেন আরও বলেন, ‘এ বন্দর দিয়ে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়েক পর্যায়ে সর্বমোট ৪৬ ট্রাকে ৯৬৬ মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশ থেকে বাংলাবান্ধা হয়ে নেপালে রফতানি করা হয়েছে।’

স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সড়ক পথে ট্রানজিট সুবিধা থাকায় ব্যবসা ও পর্যটনে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করেছে স্থলবন্দরটি। স্থলবন্দরটিতে ৯৫ শতাংশই পাথর নির্ভর হলেও বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি হচ্ছে ভারত ও নেপালে।

বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল এবং ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।

১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে প্রথম আমদানি-রফতানি শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়।