ঢাকাশনিবার , ২৩ মার্চ ২০২৪

বাজার সিন্ডিকেট চাঁদাবাজের চেয়েও ভয়ংকর : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২৩, ২০২৪ ২:১১ অপরাহ্ণ । ১৪৩ জন

বাজারে অধিক মুনাফা লাভের আশায় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করছে একটি শ্রেণি, যারা চাঁদাবাজদের চেয়েও ভয়ংকর। এদের বিরুদ্ধে যেসব সংস্থা কাজ করছে, তাদের সহায়তা লাগলে পুলিশও প্রস্তুত আছে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ (২৩ মার্চ ২০২৪) শনিবার মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্সের উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র‍্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পণ্যের দামে চাঁদাবাজির চাইতে বেশি প্রভাব পড়ে ব্যবসায়ীদের অধিকতর মুনাফার চিন্তাভাবনার। যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দেওয়া লাগে। সেই হিসাবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চাইতে অধিকতর মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ইতোমধ্যে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব মহাসড়ককে ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

নিত্যপণ্যে যারা অতি মুনফা করে দাম বৃদ্ধি করছে তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন– এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স এখানে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে যখনই আসে তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। যারা অধিক মুনফা করছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পাড়ায়-মহল্লায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু হলে অধিক মুনাফা রোধ করা সম্ভব হবে।

ঘন ঘন আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে দেখেছি বড় বড় দুচারটা অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের অনুসন্ধান চলছে।

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সিলিন্ডার কিংবা গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা দরকার। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী অগ্নিকাণ্ড রোধে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজন করলে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারব। রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে দেওয়ার জন্য জায়গা দিয়েছি, তারপরও তারা গোপনে আবারও চলে আসে। আইনভঙ্গ করে, রাজউকের অনুমোদন না নিয়ে এবং যত্রতত্র সিলিন্ডার ব্যবহার না করার জন্য সবার প্রতি নির্দেশনা দেওয়া আছে। নাশকতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।