ঢাকাসোমবার , ২৭ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

বিআরটিসি’র সকল ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্সের মডিউলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২৭, ২০২৪ ৯:২৮ অপরাহ্ণ । ২৪৭ জন

পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াও চালকগণ মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য দরকার চালকদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিজেকে অধূমপায়ী হওয়া। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ চালকদের যেমন দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন আনতে পারে তেমনি চালক নিয়োগে ও প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছাও দরকার বলে মনে করেন বক্তারা।

আজ সোমবার ২৭ মে ২০২৪ সকাল ১১.০০ টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন-বিআরটিসি’র সহযোগিতায় বিআরটিসি তেজগাঁও ট্রেনিং সেন্টারের সভাকক্ষে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে ‘পাবলিক পরিবহন ও পাবলিক প্লেসে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও করনীয়’- শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে যৌথভাবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি-ডাস্ ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-বাটা। ডাস্ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপুর সঞ্চালনায় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন-বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মো: তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব এর সভাপতিত্বে সভায় বিআরটিসি’র পক্ষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার, পরিচালক (কারিগরী), ফাতেমা বেগম, জেনারেল ম্যানেজার (প্রশিক্ষণ) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর কারিগরী পরামর্শক আমিনুল ইসলাম সুজন।

সভায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট- বাটার পক্ষে এইড ফাউণ্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা। এছাড়া সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডাস্’র পলিসি এনালিস্ট আসরার হাবীব নিপু। সভায় বক্তারা বলেন, পরোক্ষ ধূমপান প্রতিরোধে বাড়িতে ব্যক্তি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে যথাযথ কর্তৃপক্ষদের এবিষয়ে গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে গণপরিবহন ও বাস টার্মিনাল ধূমপানমুক্ত হলে ধূমপায়ীদের নিরুৎসাহিত করা আনেকটা সম্ভব।

সভাপতি তাঁর বক্তব্যে গাড়ি চালকের পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষকদেরকে আরও বেশী তামাকমুক্ত আইন ও তার কূফল সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই নিজস্ব সচেতনতাই পারে নিজেকে তামাকমুক্ত জীবন গড়তে সহায়তা করতে। তিনি বিআরটিসি’র সকল বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে ধূমপানমুক্ত ঘোষনা করেন। তিনি আশ্বাস প্রদানের সাথে বলেন, আগামীতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের সকল কোর্সেই ভর্তির সময় ধূমপায়ীদেরকে ভর্তি না করে এনফোর্সমেন্ট এর বিষয়টা গুরুত্ব দেবে বিআরটিসি। প্রয়োজনে যে কোনো কোর্সের শুরুতে এবং কোর্স সমাপ্তির পরে দু’টি সার্ভে করে ছাত্র-ছাত্রীদের ধূমপানের অবস্থা যাচাই করারও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বিআরটিসি’র ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে বিআরটিসি পরিবহনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা, পরিবহনগুলিতে স্থায়ী সাইনেজ লাগানো এবং মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে সভাকে অবহিত করেন। তিনি আশ্বাস প্রদানের সাথে আরও বলেন, আগামীতে সকল ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্সের মডিউলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

সভায় অন্যন্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এইড ফাউণ্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবু নাসের অনিক, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির প্রকল্প পরিচালক রিয়াজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক রিসার্চ ব্যুরোর প্রোগ্রাম ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, নাটাব এর প্রোজেক্ট অফিসার সজীব আহমেদ সহ বিআরটিসি’র বিভিন্ন বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ ইউনিটের ম্যানেজার, প্রশিক্ষক, চালকবৃন্দ সহ ডাস্ এর কর্মীবৃন্দ।