ঢাকাশনিবার , ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রতিযোগিতা আনার চেষ্টা করছি : উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৫, ২০২৫ ৯:০৬ অপরাহ্ণ । ৭৪ জন

দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাতটিতে প্রতিযোগিতার চর্চা বাস্তবায়নে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রয়োজন উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা। আমরা সেটা চেষ্টা করছি।’

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে ‘পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি সিনারিও ইন বাংলাদেশ: এনসিওরিং এনার্জি সিকিউরিটি ফল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান ।

ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মূল সমস্যা হলো—এখানে প্রতিযোগিতা ছিল না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমরা প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি।

এ জন্য ব্যবসায়ীসহ সবার সহযোগিতা চেয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এরইমধ্যে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কিছু মৌলিক জ্বালানি ক্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক দামে জ্বালানি ক্রয়ের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

‘দেশের বিদ্যুৎ খাতে বার্ষিক ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা, জ্বালানি খাতে সেটা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। সব সরকারের আমলেই দেশে মৌলিক জ্বালানির উন্নয়ন অবহেলিত ছিল। যার প্রভাব পড়েছে বিদ্যুতসহ সমগ্র জ্বালানি খাতে।’

দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ব্যাপকহারে কয়লা ও গ্যাসের কূপ খনন করতে হবে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক হাফিজুর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সিস্টেম লস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পাশাপাশি, সাশ্রয়ী জ্বালানি কৌশল গ্রহণ, আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনা, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানিতে বেসরকারি খাতকে সুযোগ দেওয়া, একক জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে আনাসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।

সেমিনারে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সংস্কার বাস্তবায়ন জরুরি।