টিকিট নাই, অথচ বিমানের সিট ফাঁকা— এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে চান বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা। তিনি বলেন, এটির সমাধানকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান করতে চাই। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা দিতে চাই।
রোববার (৩০ জুন) কুর্মিটোলায় বিমানের বলাকা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, থার্ড টার্মিনালে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য প্রস্তত। বিমান এটি গত ৫২ বছর ধরে করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল কেরিয়ার বা তাদের সিস্টার্স কনসার্ন তারই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে বিমান এটা দাবি করে। আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, সংবাদের জন্য সাংবাদিকদের তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে তৎপর থাকবো। আমাদের এক্সিস্টিং ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। মালে, কুনবিং, জাকার্তা, সিউল ও সিডনিতে আমরা পর্যাক্রমে প্রত্যাশা করছি। প্রোফিট-লস সিএ ফার্ম দিয়ে নির্ণয় করা হয়। এছাড়া পেট্রোবাংলার বিপিসিতে আমরা নিয়মিত পেমেন্ট করে যাচ্ছি। বকেয়া কমানোর প্রক্রিয়া অন গোয়িং রয়েছে।
বিমানের ফ্লাইট ডিলে সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের অন-টাইম পারফমেন্স নরমালি ৭৪ পার্সেন্ট। গত মাসের সেটি ৬৭ শতাংশ ছিল। কীভাবে ডিলে কমানো যায় সে বিষয়ে আমি পরিকল্পনা করছি।
সোনা চোরাচালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কখনওই গ্রহণযোগ্য হবে না।
দুর্নীতি করে কোনো প্রতিষ্ঠান আগাতে পারে না জানিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখান কোনো সুযোগ নেই। এর আগে এখানে যারা দুর্নীতি করেছে বিভিন্ন লেয়ারে তাদের শাস্তি হয়েছে। কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কাউকে পদাবনতি করা হয়েছে, কারও বেতন কমানো হয়েছে। আমিও এই জায়গাগুলোতে কাজ করব এবং অব্যাহত রাখবো। আমরা টিকিটিংয়ের জায়গা ও দুর্নীতির জায়গা থেকে মুক্ত হতে চাই।
এর আগে গত ২৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয় জাহিদুল ইসলামকে।
জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বিসিএস (প্রশাসন) ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে গত সাড়ে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর জাহিদুল ইসলাম ভূঞা শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউলে প্রথম সচিব (শ্রম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।