ঢাকারবিবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

বিশ্বব্যাপী বাড়ছে দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪ ২:৩৭ অপরাহ্ণ । ৪০ জন

সরবরাহ সংকটের মধ্যেই বাড়তি চাহিদার কারণে বিশ্বব্যাপী বাড়ছে দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্যের দাম। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহ ব্যবধানে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম। এদিকে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) মাসিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত আগস্টে বছর ব্যবধানে সর্বোচ্চ দামে দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে বিশ্ববাজারে। নানা ব্র্যান্ডের গুঁড়োদুধ, ল্যাকটোজ, পনির-বছরব্যাপীই এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকে বিশ্ববাজারে। কখনও উৎপাদনে ঘাটতি, আবার কখনও সময় মতো সরবরাহ না পাওয়ার শঙ্কার বিপরীতে চাহিদা বৃদ্ধি-এসব কারণে বেড়ে যায় পণ্যের দাম।

এমন নানা কারণে দুগ্ধজাত পণ্যের বিশ্ববাজারে দেখা দিয়েছে দাম বৃদ্ধির প্রবণতা। গ্লোবাল ডেইরি ট্রেড-জিডিটি’র নিলামের তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড বলছে, গত সপ্তাহে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে চাহিদা ও বিক্রি। এসময়ে ৩৮ হাজার ৮১৪ টন দুগ্ধজাত পণ্য কেনা-বেচা হয়েছে, প্রতি টনের গড় মূল্য পড়েছে ৩ হাজার ৮৮৩ ডলার। এর আগের নিলামে ৩ হাজার ৮৩৩ ডলার গড় মূল্যে বিক্রি হয়েছিল ৩৮ হাজার ৩৪৬ টন দুগ্ধজাত পণ্য।

গত সপ্তাহের নিলামে নিউজিল্যান্ডের কৃষকদের মালিকানাধীন একটি বহুজাতিক ডেইরি প্রতিষ্ঠান ফন্টেরার ননিযুক্ত গুঁড়া দুধের দাম সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে আগের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ। টনপ্রতি গড়মূল্য পৌঁছেছে ৩ হাজার ৪৪৮ ডলারে। এর আগের নিলামে পণ্যটির দাম ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছিল। তাদের ননিছাড়া গুঁড়া দুধের দামও ২.২ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিটনের গড় মূল্য পৌঁছেছে ২ হাজার ৮০৯ ডলারে।

হেরাল্ডের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগের নিলামে দাম কমলেও গত সপ্তাহে এসে ল্যাক্টোজের দাম ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের গড়মূল্য পৌঁছেছে ৮৯৬ ডলারে। এই নিলামে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মোজারেলা পনিরের। এটির দাম ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতিটনের গড়মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৫১ ডলারে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফএও জানিয়েছে, গত জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ২.২ শতাংশ। বছর ব্যবধানে অর্থাৎ গত বছরের আগস্টের তুলনায় এবার আগস্টে ১৪.২ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এসব পণ্য। এমন দাম বৃদ্ধির পেছনে চাহিদার বাড়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।