পৃথিবীতে এখন মানুষের সংখ্যা ৮০০ কোটি, এর মধ্যে ৫ কোটি ৬০ লাখ মানুষ লাখোপতি-কোটিপতি। যা সারা বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র দশমিক ৭ শতাংশ। লাখোপতিদের মধ্যে বেশিরভাগই শত কোটি, হাজার কোটি টাকার মালিক রয়েছে। যাদের হাতে বিশ্বের বেশিরভাগ সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে আছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্রেডিট সুইসি এর করা ডলারের ভিত্তিতে সম্পদের তথ্য তুলে ধরে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাগোইনভেস্ট।
লাখোপতি-কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি হু হু করে বাড়ছে দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা। ২ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার লাখোপতি-কোটিপতি নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যা বিশ্বের মোট লাখোপতি-কোটিপতির প্রায় অর্ধেক। দ্বিতীয় শীর্ষে থাকা চীনে রয়েছে ৬১ লাখ ৯০ হাজার লাখোপতি-কোটিপতি। বিশ্বের মোট লাখোপতি-কোটিপতির ১০ শতাংশের বাস চীন দেশে। জাপানে এই সংখ্যা ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার। অন্যদিকে ২৮ লাখ ৪৯ হাজার লাখোপতি-কোটিপতি নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে যুক্তরাজ্যে। পর্যায়ক্রমে ফ্রান্সে আছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার লাখোপতি-কোটিপতি, জার্মানীতে ২৬ লাখ ৮৩ হাজার, কানাডায় ২২ লাখ ৯১ হাজার, অষ্ট্রেলিয়ায় ২১ লাখ ৭৭ হাজার, ইতালিতে ১৪ লাখ ১৩ হাজার এবং দশম স্থানে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ায় আছে ১২ লাখ ৯০ হাজার লাখোপতি-কোটিপতি।
বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণেই দেশে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। বিপরীতে বাড়ছে বৈষম্য, আর এই আয় বৈষম্যের কারণে বাড়ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। বরং বাংলাদেশ দ্রুত কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির হার এ সবার চেয়ে এগিয়ে। গেল কয়েক মাসে দেশে কোটিপতি ব্যাংক একাউন্টধারীর সংখ্যা বেড়ছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত ৭ লাখ ৯৬ হাজার লাখোপতি-কোটিপতি নিয়ে বিশ্বের ১৫ তম শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে বলে জাগোইনভেস্টরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার মধ্যে এক দশমিক ২ শতাংশ হলেও ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে সাবালিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাত্র শুন্য দশমিক ১ শতাংশ লাখোপতি-কোটিপতি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।