ঢাকামঙ্গলবার , ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • অন্যান্য

বীমাকারীর কর্পোরেট গভর্ন্যান্স গাইড লাইন জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৪, ২০২৩ ৯:৩১ অপরাহ্ণ । ১৮৩ জন

বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইন জারি করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ‘বীমাকারীর করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইন, ২০২৩’ নামে নতুন এই গাইডলাইন জারি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গাইডলাইনে বলা হয়েছে, জীবন ও সম্পত্তির ঝুঁকি মোকাবেলায় বীমা সেবার পরিধি বিস্তৃতির লক্ষ্যে বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পেশাদারিত্ব ও আর্থিক শৃঙ্খলা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি। বীমা আইন, কর্তৃপক্ষ আইন, জাতীয় বীমা নীতির এ সংক্রান্ত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বীমা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন ও বিধি পরিপালন এবং সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই গাইডলাইন প্রণয়ন করা হলো।

এতে বলা হয়েছে, করপোরেট গভর্ন্যান্স কাঠামোতে এমন একটি ব্যবস্থা থাকবে যা প্রশাসনিক দায়িত্ব ও তদারকির মধ্যে উপযুক্ত সীমারেখা, দায়িত্বের সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য নীতিমালা, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডার, স্টেকহোল্ডার ও বীমা গ্রাহকদের অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করে।

গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের মোট পরিচালকের সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ২০ জন এবং এর মধ্যে ২ জন নিরপেক্ষ পরিচালক থাকবে। এছাড়া পরিচালক নিয়োগ এবং পুনর্নিয়োগের সুস্পষ্ট পদ্ধতি থাকবে। আদালত দেউলিয়া ঘোষণা করেননি এবং বাংলাদেশ বা অন্য কোথাও কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণখেলাপি সাব্যস্ত হননি এমন ব্যক্তি বীমা কোম্পানির পরিচালক হতে পারবে।

এছাড়া কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হননি কিংবা কোনো জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্য কোনো বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত নন এমন ব্যক্তিও পরিচালক হতে পারবেন। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কোম্পানির নন-এক্সিকিউটিভ পরিচালকদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন বলেও গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে, বাকি সদস্যরা পর্ষদ সভার জন্য চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণ কার্যবিবরণীতে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করাসহ নন-এক্সিকিউটিভ পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। প্রত্যেক পরিচালককে তার নিয়োগের ১৫ দিনের মধ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে বীমা কোম্পানিতে নিজের ও নিকট আত্মীয়ের শেয়ারধারণের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে।

পরিচালনা পর্ষদ মনোনয়ন ও পারিশ্রমিক কমিটির সুপারিশক্রমে পর্ষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য একটি আচরণ নীতিমালা প্রণয়ন করবে। আচরণনীতিতে সুশাসন নিশ্চিতে ভূমিকা রাখে এমন বিষয়াদিসহ গোপনীয়তা, স্বার্থের দ্বন্দ্ব, আইন ও বিধি-বিধান পরিপালন, কর্মপরিবেশ, কর্মচারী, বীমাগ্রাহক এবং অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও গাইডলাইনে বলা হয়েছে।