তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ডেটা সেন্টার সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট সম্প্রতি এ আয়োজন করে। এতে ৬০ জনেরও বেশি স্বনামধন্য ব্যাংক প্রতিনিধি এবং ১৫০ জন এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকসহ ইন্ডাস্ট্রির বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার সলিউশন্স ও আইসিটি রূপান্তরকারী সম্ভাবনা সম্পর্কে বাংলাদেশি গ্রাহকদের মধ্যে জ্ঞানের বিস্তার ঘটাতে এবং সচেতনতা তৈরি করতে গ্রাহককেন্দ্রিক এ সিম্পোজিয়ামটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ সিম্পোজিয়ামের শিরোনাম ছিল ‘‘হুয়াওয়ে ডেটা সেন্টার সিম্পোজিয়াম: পাওয়ারিং দ্য ফিউচার অব ডিজিটাল ফাইন্যান্স অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস’’। দুই দিনের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার বিজনেস ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) ও এপিএসি ডিজিটাল পাওয়ার পার্টনার অ্যান্ড ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পার্টনার ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর লিউ জিনপিং (জিমি)।
অনুষ্ঠানে লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে স্মার্ট ও গ্রিন পাওয়ার সলিউশন্স সরবরাহ করার জন্য চেষ্টা করছে। আমাদের ডেটা সেন্টার টিম বাংলাদেশকে দক্ষ ডেটা সেন্টার হিসেবে তৈরি করতে উচ্চমানসম্পন্ন সলিউশন্স দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের বাজারে আমাদের সর্বাধুনিক ‘ডেটা সেন্টার প্রোডাক্টস অ্যান্ড সলিউশন্স আনতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ও এর নাগরিকরা আমাদের ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ভবিষ্যতের সূচনা করে আইসিটির পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারবে।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের ডেটা সেন্টার সলিউশন্স উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার বিজনেস ডিপার্টমেন্টের ডেটা সেন্টার অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল পাওয়ার ফ্যাসিলিটির সলিউশন্স ম্যানেজার মোহাম্মদ গোলাম কাওসেন (খোকন)। যার মধ্যে ছিল মড্যুলার অ্যান্ড প্রিফেব্রিকেটেড ডেটা সেন্টার, স্মার্ট ক্রিটিক্যাল পাওয়ার সাপ্লাই সলিউশন্স, স্মার্ট কুলিং সলিউশন্স, স্মার্ট ডিসি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডিসিআইএম+ এবং বাংলাদেশে ডেটা সেন্টার কেস শেয়ারিং।
ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীদের ইন্ডাস্ট্রির প্রফেশনাল বা পেশাদারদের কাছ থেকে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করতে প্রত্যেকে নিজেদের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে কলোসিটি লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অ্যান্ড সেল্স অফিসার মোহাম্মদ আল ফাউদ তার মূল্যবান বক্তব্য দেন। এরপর বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএআরসি) প্রজেক্ট ম্যানেজার আবিদ হোসেন চৌধুরী হুয়াওয়ের পণ্য ও সলিউশন্স নিয়ে তার সন্তুষ্টি এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।