ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’র আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
চলতি বছর এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামে আঘাত হানে সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’। ঝড়টি এখন পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বন্যা এবং ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দেশটির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিধসে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীন এবং ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) হোয়া বিনহ প্রদেশে একটি বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়ে একই পরিবারের চার সদস্য মারা যান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভিএনইএক্সপ্রেস জানায়, ‘ইয়াগি’র প্রভাবে কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টিপাতের পর মধ্যরাতের দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের সময় একটি বাড়ি ধসে পড়েছে। দুর্ঘটনা থেকে ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। তবে তার স্ত্রী, মেয়ে এবং দুই নাতি মারা গেছেন।
এদিকে রোববার দুপুরের দিকে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় লাও সেই প্রদেশের সা পা এলাকায় ভূমিধসের ঘটনায় ১৭ জন চাপা পড়ে। এর মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি নয়জন আহত হয়েছে।
‘ইয়াগি’র প্রভাবে ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটারের (১৪৩ মাইল) বেশি বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে এবং দ্বীপটির সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় কুয়াং নিহ প্রদেশে চারজন এবং হ্যানয়ের কাছাকাছি হাই ডুয়োং শহরে আরও একজন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তুয়ান চাউ দ্বীপের হাই আউ বোট লকে কমপক্ষে ২৩টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীন এবং ফিলিপাইনে টাইফুন ‘ইয়াগি’র আঘাতে কমপক্ষে ২৪ জনের মৃ্ত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের উপকূলীয় শহরগুলো থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হ্যানয়সহ উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে সব স্কুল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া লোকজনকে এই সময়ে বাড়িতেই অবস্থান করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।