চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের ৬৭ একর জমি ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে ১৬ বছর পর উদ্ধার করেছে খামার কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার হওয়া জমিতে খামার কর্তৃপক্ষ বীজ উৎপাদনের জন্য চারা রোপণ করবেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের জীবননগরের সুটিয়া ও তেঁতুলিয়া গ্রাম থেকে এ জমি উদ্ধার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের আওতায় ১৯৬২ সালে পাথিলা বীজ উৎপাদন খামার গড়ে ওঠে ৬০৫ একর জমির ওপর। খামারে ধান, আলু, পাট, গমসহ অন্য ডাল ফসলের বীজ উৎপাদন হয়।
স্থানীয় ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালীরা সে সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে খামারের প্রায় ৬৭.৪ একর জমি নিজেদের দখলে নেয় ১৬ বছর আগে। জমি দখলে নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন স্থানীয় গোপাল, রাবণ ও শামীম। জীবননগর পাথিলা মৌজার ১৩১নং দাগের জমি উদ্ধার হয়। সে সময়ের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন খান, যুবলীগ নেতা জুয়েল, জীবননগর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের ছত্রছায়ায় থেকে গোপাল, রাবণ ও শামীম মাছ চাষ করছিল।
পথিলা বীজ উৎপাদন খামারের জমি উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপ-সচিব ড. কে, এম, মামুন উজ্জামান, বিএডিসির মহাব্যবস্থাপক (বীজ) মোহাম্মদ আবীর হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বিএডিসির অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (খামার) ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মোল্লা। এছাড়া বিএডিসির বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।