ভোলায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তানসহ সোনিয়া বেগম (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার এশিয়া মেডিকেল সেন্টারে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের দাবি, ওই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনজেকশন পুশ করার পরই প্রসূতির মৃত্যু হয়।
নিহত সোনিয়া বেগমের বাড়ি সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মো. কামালের স্ত্রী। কামাল ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
স্বজনরা জানান, সোমবার বিকেলে হেঁটেই বাড়ি থেকে জেলা সদরে যান সোনিয়া বেগম। ভর্তি হন এশিয়া মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় গর্ভের সন্তানসহ তার মৃত্যু হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের স্টাফরা স্যালাইন ও ইনজেকশন পুশ করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মুখ দিয়ে রক্ত ওঠে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। ভর্তির পর কোনো চিকিৎসক ওই রোগীকে দেখেননি। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টাফদের দেয়া চিকিৎসা ভুল বলে দাবি স্বজনদের। মানা হয়নি চিকিৎসার কোনো নিয়মনীতি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।
রাতে সরেজমিনে এশিয়া মেডিকেল সেন্টারে দেখা যায়, নিহতের নয় বছরের শিশু হাবিব মায়ের মৃত্যুতে আহাজারি করছে। কোনো আশ্বাসেই থামছে না হাবিবের কান্না। তার সঙ্গে থাকা স্বজনরাও শোকে কাতর।
এ দিকে ওই হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান ও সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, রোগী হাসপাতালে ভর্তির পর একজন এমবিবিএস চিকিৎসক করণীয় ঠিক করে দেবেন। এ রোগীর ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে তা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। যারা তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। তদন্তে অনিয়ম পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওই হাসপাতালে সব ধরনের ডেলিভারি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব নার্স কর্মরত ছিলেন তাদের সার্টিফিকেট দেখা হবে বলে জানান তারা।
পুলিশ পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।