ঢাকাবুধবার , ২৮ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাংস কাটার ডুম বা গুল এর চাহিদা মেটাতে তেঁতুল গাছ লাগানো জরুরি

পাবলিকহেলথ ডেস্ক:
জুন ২৮, ২০২৩ ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ । ৬১৪ জন

সবাই ছবি দেখে নিশ্চয়ই বুঝেছেন এসব কোরবানির মাংস কাটতে অন্যতম উপকরণ গাছের গুল বা ডুম! সবাই না হলেও অনেকেই জানেন এসব কি গাছ কেটে ডুম তৈরী করা হয়! হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন এসব সাধারণত তেঁতুল বা বেল গাছের। কেননা এসব গাছের তন্তু বেশ শক্ত। তেঁতুল এর বৈজ্ঞানিক নাম Tamarindus indica.

তেঁতুল গাছের গুরুত্ব তুলে ধরে “দেশীগাছ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আন্দোলন dtbcm” উদ্যোগে জয়পুরহাট জেলায় ১০০ টি তেঁতুল গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন পরিবেশ কর্মী রতন মন্ডল।

তাদের ফেসবুকে পেইজে আহবান জানিয়ে লিখেছে, প্রতিবছর কোরবাণীর ইদে গাছের গুল বা ডুমের চাহিদা পুরণে সারাদেশে কতশত তেঁতুল গাছ ও গাছের ডাল কাটতে হয় এইসব গুঁড়ি একবার ব্যবহার হয়, পরের বছর ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে যায। তাহলে প্রতিবছর এই দেশী গাছ কর্তন করা হলেও কে কয়টি গাছ লাগিয়েছেন? না কেউই লাগান না। এ গাছের যেটুকু বিস্তৃতি ঘটে কেবলমাত্র পাখপাখালি বা প্রাকৃতিকভাবে। ফলে দিনদিন এই দেশীগাছ বিলুপ্তির পথে। একসময় প্রায় গ্রামে প্রকাণ্ড আকারের (৭-৮মি. বেড়) তেঁতুল গাছ দেখা যেতো। আজ সব সাবাড় করা হয়েছে। কিন্তু এ গাছের গুরুত্ব জানেন কি?

তেঁতুল গাছের গুরুত্ব!

তেঁতুল গাছের অনেক গুণ আছে জেনেই এবার “দেশীগাছ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আন্দোলন” চারা তৈরির মাধ্যমে ১০০টি এ গাছ রোপণ করবে। কি সেই গুরুত্ব?

প্রচুর শাখা-প্রশাখা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘন পাতা বিশিষ্ট গাছ। বছরের পর বছর বিভিন্ন প্রতিকূলতা সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে। ফলে শতশত পাখি আবাস গড়তে উপযোগী বলে নীড় তৈরী করে। বিশেষ করে বাদুড়-বক-শামুকখোল পাখিদের সব বেশি পছন্দ।শত বছরের আয়ু তেঁতুলের জন্য আশ্চর্য কিছু নয়। তবে গাছের বৃদ্ধি ধীর। ফুল ফোটার মৌসুম জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাস, যে সময় অন্যান্য গাছগাছালির ফুল কম হয়। ফলে মৌমাছিসহ অন্যান্য পতঙ্গের মধু পরাগ সংগ্রহে খুব কাজে দেয়।

ফল স্বাদে টক। তেঁতুলে টারটারিক অ্যাসিড থাকায় স্বাদ টক হয়। বীজ বিভিন্ন নকশিশিল্পে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পাকা ফল শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। আচার চাটনি ও অন্যান্য ভেষজ কাজে তেঁতুল ব্যবহূত হয়। তেঁতুলে প্রচুর শর্করা, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন-সি রয়েছে। পেটের বায়ু, হাত-পা জ্বালা-পোড়ায় তেঁতুলের শরবত বেশ উপকারী। তেঁতুলের কচি পাতা সেদ্ধ করে ঠান্ডা করে খেলে সর্দি ভালো হয়, হজমে সহায়তা করে, মাথাব্যথা দূর হয়, ধুতরা ও কচুর বিষাক্ততা এবং অ্যালকোহলের বিষাক্ততা নিরাময় করে। গাছের ছাল চুর্ণ ব্যবহারে দাঁত ব্যথা, চোখ জ্বালা-পোড়া নিরাময় ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

আহবান :

দেশীগাছ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ১০০টি তেঁতুল গাছ লাগানোর পরিকল্পনায় যুক্ত হতে চাইলে অনুগ্রহ করে পেজে সাড়া দিবেন এই লিংকে https://www.facebook.com/profile.php?id=100093165889518

লেখা ও ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা: রতন মন্ডল