বর্তমানে প্রায় ৬০ ভাগ প্রাণিজ আমিষের যোগান দিচ্ছে মাছ। প্রতিদিন মাথাপিছু ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে আমরা ৬৭ দশমিক ৮ গ্রাম মাছ গ্রহণ করছি। রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে করোনাকালে বিশ্বের যে ৩ টি দেশ মৎস্য উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ তার অন্যতম।অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৩য় স্থানে, ইলিশ উৎপাদনে ১ম এবং বদ্ধ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে ৫ম।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছিল ২৭ দশমিক ১ লাখ মেট্রিক টন যা ২০২১-২২ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে ৪৭ দশমিক ৫৯ লাখ মেট্টিক টন। একই সময়ে ইলিশের উৎপাদন ২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্টিক টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৬৭ হাজার মেট্টিক টনে উন্নীত হয়েছে। এভাবে মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইলিশ এবং ২০২২ সালে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি জিআই সনদ লাভ করেছে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী।
করোনা সংকটেও মৎস্য খাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, যাতে এ খাতে ক্ষতিগ্রস্তরা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। ফলে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনের সক্ষমতা সাফল্যের সঙ্গে দেখাতে সক্ষম হয়েছে। একটা সময় কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে মাছ রপ্তানি বিপন্ন অবস্থায় পড়েছিল উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বিশ্ববাজারে নিরাপদ ও মানসম্মত মাছ রপ্তানির জন্য দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আন্তর্জাতিকমানের মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব দেশ যেভাবে কমপ্লায়েন্স চায় সেভাবে দেওয়া হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের মাছ এখন গুণগতমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় চমৎকার হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে।