প্রকৃত জেলে ছাড়া অন্য কেউ সরকারি প্রণোদনা পাবে না। শুধু তাই নয়, বিগত দিনে যাচাই-বাছাই ছাড়া যাদের নাম জেলে তালিকায় নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তাদেরকে চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া হবে। সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে চাঁদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ টাস্কফোর্স কমিটির সঙ্গে মৎস্য ব্যবসায়ীদের এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে কাউকেই হয়রানি করা হবে না। এসময় নদীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থাকবে। তাদের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালন করবেন। মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে এর পরবর্তী সুফল জেলেরাই পাবেন।’
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, অতিথি জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত ও চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবেবরাত প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনাসহ দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এসময় এসব এলাকায় ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত নিষিদ্ধ করা হয়। আর নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন বেকার জেলে যারা সরকার তালিকা রয়েছেন। তাদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৩০ কেজি হারে চাল আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হবে।