ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

মুক ও বধির বিদ্যালয় ও শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করছে সরকার : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৪, ২০২৪ ৭:৫৮ অপরাহ্ণ । ১১২ জন

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, শিশুদের সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যতটি প্রোগ্রাম আছে তার অধিকাংশই শিশুদের নিয়ে। শিশু পরিবার, মুক ও বধির বিদ্যালয়, শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই শিশুদের নিয়ে কাজ করছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরে মন্ত্রী সিএসপিবি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও নতুন শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের প্রশিক্ষণ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওআইসি প্রতিনিধি এমা ব্রিগাম(Emma Brigham), ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা প্রধান নাতালি ম্যাক কলি (Natalie McCauley) ও সিএসপিবি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, মো. সারোয়ার হোসেন।

মন্ত্রী বলেন, শিশু সুরক্ষায় সমাজকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের কাজ কমিউনিটি ভিত্তিক হবে। কোন শিশু অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে কিনা, শারীরিক মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কিনা, তা শণক্ত করা হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের শহরগুলোতে অনেক শিশু রাস্তায় বসবাস করে। অনিরাপদ পরিবেশে বসবাস করে। কাজেই এ সকল শিশুদের সুরক্ষা, তাদের অধিকার সংরক্ষণ এ বিষয়গুলোতে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী দেশের শিশুদের বেড়ে উঠার পরিবেশ ও সুরক্ষা নিয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন। গ্রামে শিশুরা সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে থাকে। সেই সমাজ কাঠামো শিশুর সুরক্ষায় একটা কবচ হিসেবে কাজ করে। শহরের ক্ষেত্রে তা ভিন্ন। এখানে নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার সংগীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার । নারীর সাথে সাথে তার শিশুও অনিরাপদ পরিবেশে বেড়ে উঠে। গ্রামে যৌথ পরিবার কাঠামোটা নারীর সুরক্ষার রক্ষাকবচ তৈরি করে। এখানে শহুরে পরিবেশে তেমন কেউ এগিয়ে আসে না। গ্রামে শিশুদের শারীরিক মানসিক নির্যাতনের ঘটনা কম ঘটে।

শিশুরা কোন অনিরাপদ পেশায় বা অনিরাপদ জীবন যাপম করছে, এগুলো অধিকাংশ ঘটে শহরে, গ্রামে ঘটেনা। এ ধরণের সমস্যাগুলি শহরকেন্দ্রিক। তাই শহরে শিশু সুরক্ষায় অধিক গুরুত্ব দিয়ে শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের কাজ করতে হবে। এরপর মন্ত্রী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষকদের হাতে সনদ তুলে দেন।