ঢাকাবুধবার , ৬ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

যক্ষ্মা রোগীদের মর্যাদা ও সমান অধিকার নিশ্চিতে দরকার সামাজিক লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৬, ২০২৪ ২:১৭ অপরাহ্ণ । ১০৪ জন

যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীদের সামাজিক মর্যাদা ও সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দরকার সমন্বিত সামাজিক লড়াই। যক্ষ্মা রোগীদের প্রতি বৈষম্য দূর করে চিকিৎসা ও সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। প্রান্তিক রোগীদের উপযুক্ত জনসচেতনতার মধ্য দিয়ে চিকিৎসার আওতায় আনা গেলে দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করা সম্ভব।

গতকাল মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পরামর্শক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িংয়ের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল আজিজ বলেন, সরকার বিনামূল্যে যক্ষ্মা নির্ণয় এবং চিকিৎসা করছে। আমাদেরকে যেকোন মূল্যে যক্ষ্মা নির্মূল করতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ে আমাদের দরকার জন সচেতনতা। যেসব কারণে যক্ষ্মা রোগ হয় এবং চিকিৎসায় যে যক্ষ্মা ভালো হয় সেসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, দেশের তরুণদের মধ্যে এই সচেতনতা বেশি জরুরী। আমাদের সবাইকে নিজের জায়গা থেকে সমস্ত সংক্রামক রোগের হাত থেকে দেশকে রক্ষায় কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে করণীয় এবং যক্ষ্মা রোগীদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে বলেন, প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও যক্ষ্মার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে পরিগণিত হয়, যেখানে প্রতি মিনিটে একজন ব্যক্তি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে এবং ১২ মিনিটে যক্ষ্মার কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যক্ষ্মা নির্মূলে বাংলাদেশের এখনো পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ হলো সব ধরনের রোগী শনাক্ত করতে না পারা। যক্ষ্মা হলে মানুষ প্রকাশ করতে চায় না সামাজিক লজ্জা এবং সচেতনতার অভাবে। যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে প্রত্যেক সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বৃদ্ধি, মান উন্নয়নে যথাযথ নীতিনির্ধারণীমূলক উদ্যোগ নেওয়া, পরীক্ষার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করে বিনা পয়সায় ওষুধ খাওয়ানো, সচেতনতা বাড়াতে এলাকায় লিফলেট বিতরণ এসব কাজ গুরুত্বসহকারে করতে হবে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডঃ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, চেয়ারম্যান, আইএসিআইবি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশ নেন। সভার কারিগরি সহায়তা প্রদান করে ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি)।