সরকারিভাবে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ৬৫ হাজার ভায়াল গ্যাসের ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে হাসপাতালটিতে গ্যাসের ইনজেকশনের কোনো ধরণের সংকট নেই। আগামী জুন মাস পর্যন্ত কোনো রোগীকে গ্যাসের ইনজেকশন কেনা লাগবে না। শতভাগ রোগী এ ইনজেকশন পাবেন। রোগীদের গ্যাসের ইনজেকশন কেনার জন্য শর্ট স্লিপ না দিতে দায়িত্বরতদের নির্দেশনা দিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ।
যশোরসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলার রোগীদের আশা ভরসার স্থল যশোর জেনারেল হাসপাতাল। স্বনামধন্য হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত পাওয়ায় যশোরসহ নড়াইল, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মাগুরা জেলার অধিকাংশ গরিব মানুষ এখানে আসেন। উদ্দেশ্য একটাই অল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া। গরিব মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে এ হাসপাতালে ৮৪ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ইডিসিএল ৪৪ প্রকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্থানীয় অর্থে টেন্ডারের মাধ্যমে অবশিষ্ট ৪০ প্রকার ওষুধ কর্তৃপক্ষ ক্রয় করে।
সূত্র জানায়, রোগীরা ভর্তি হয়ে ওয়ার্ডে আসার পর দায়িত্বরত সেবিকা ওষুধ সামগ্রী কিনে আনার জন্য স্বজনদের হাতে শর্ট স্লিপ ধরিয়ে দেন। অধিকাংশ রোগীর শর্ট স্লিপে গ্যাসের ইনজেকশন লেখা। প্রতিদিন দুইটা করে গ্যাসের ইনজেকশন কিনতে গিয়ে গরিব রোগীর স্বজনেরা হাপিয়ে উঠছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সকল রোগীর বিনামূল্যে গ্যাসের ইনজেকশন সরবরাহের নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণ করেন কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী ৬৫ হাজার ভায়াল গ্যাসের ইনজেকশন ক্রয় করা হয়েছে। এগুলো শেষ হওয়ার পর আরও গ্যাসের ইনজেকশন ক্রয় করা হবে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, এখন থেকে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সকল রোগী বিনামূল্যে গ্যাসের ইনজেকশন পাবে। কোনো রোগীর জন্য বাইরে থেকে গ্যাসের ইনজেকশন কিনতে হবে না। রোগীদের সুবিধার্থে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওয়ার্ড ইনচার্জসহ দায়িত্বরত সেবিকাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে রোগীদের গ্যাসের ইনজেকশনের কেনার স্লিপ না দেয়ার জন্য। কেউ নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।