যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় ৬২ শতাংশের জন্য দায়ী জেএন.১ উপধরন। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সংক্রমণের প্রবণতা বিশ্লেষণ করে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সিডিসি বলেছে, বর্তমানে জেএন.১ উপধরনটি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে। ইউরোপেও এর আধিপত্য দেখা গেছে। প্রকোপ বাড়ছে এশিয়াতেও।
সবশেষ গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সংক্রমণের প্রবণতা বিশ্লেষণ করে সিডিসি আক্রান্তের হারের যে চিত্র উপস্থাপন করেছিল, তার তুলনায় গতকালের দেওয়া হিসাবে আক্রান্তের হার ৫৫ থেকে ৬৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া পর্যালোচনায় সিডিসি বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৯ থেকে ৫০ শতাংশই জেএন.১ উপধরনে আক্রান্ত হচ্ছেন।
তবে এখন পর্যন্ত জেএন.১ উপধরনে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সিডিসি। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত করোনার টিকাগুলোই জেএন.১ থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে বলে আশা করছে তারা।
সিডিসির হিসাব অনুসারে, ৩০ ডিসেম্বর নাগাদ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার ২০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
গত ডিসেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জেএন.১ উপধরনকে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ ঘোষণা করেছে। তারা আরও বলেছে, এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে বলা যায়, এই উপধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কম।