সরকারি গুদামে চালের মজুত গত বছরের তুলনায় বেশ কম। এর ওপর ১১ জেলায় বন্যার হানা। এতে আমন-আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে চালের দাম দেশের বাজারের চেয়ে বেশি। ফলে আমদানির সম্ভাবনাও কম। ফলে সব মিলিয়ে অক্টোবর মাস পর্যন্ত চালের বাজারে অস্থিরতা থাকতে পারে। তবে নভেম্বরে আমন কাটা শুরু হলে চালের দাম কমতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএ থেকে বাংলাদেশের দানাদার খাদ্যবিষয়ক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ গ্রেইন অ্যান্ড ফিড আপডেট, আগস্ট–২০২৪ শীর্ষক, বাংলাদেশের দানাদার খাদ্যবিষয়ক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টিও উঠে এসেছে। এই আন্দোলনের সময় গত জুলাই মাসে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব না পড়লেও ইন্টারনেট বন্ধ থাকা ও সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে মাসখানেক খাদ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় চালের বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেটে বন্যায় ধানের ব্যাপক ক্ষতির কারণে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চালের উৎপাদন ৩ শতাংশ কমতে পারে। এই অর্থবছরে চালের উৎপাদন ৩ কোটি ৬৮ লাখ টন হতে পারে। ধান হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের চেয়ে সাড়ে ৩ শতাংশ কম। বছরে মোট চালের চাহিদা ৩ কোটি ৭০ লাখ টনের বেশি।
সরকারি হিসেবে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সরকারি গুদামে বর্তমানে ১৪ লাখ ৮১ হাজার টন চাল মজুদ রয়েছে। এই মজুত গত বছরের তুলনায় বেশ কম হলেও সরকারি সূত্রের মতে, আগামী তিন মাসের জন্য এই মজুত যথেষ্ট।
এ ছাড়া ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি গুদাম ও ব্যবসায়ীদের কাছে কী পরিমাণ চাল মজুত আছে, তার কোনো হিসাব সরকারের কাছে নেই। তবে ইউএসডিএর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বাজারে চালের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। সব মিলিয়ে দুই মাস অস্থিরতা বজায় থাকবে দেশের চালের বাজারে। তারপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।