বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রদীপ কুমার দাস বলেন, আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। রমজানে বাংলাদেশে ব্যাপক আকারে রাস্তার খাবার বিক্রি করা হয়ে থাকে। সেই ইফতার কিভাবে নিরাপদ করা যায়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা-১০ আসনকে মডেল জোন তৈরি করা যায় কিনা। সেখানকার সংসদ সদস্য ফেরদৌস এগিয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, ফেরদৌসের নির্বাচনী এরিয়া ধানমন্ডি, মিরপুর, হাজারীবাগ পুরো এরিয়াকে মডেল ইফতারি জোন করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শনির আখড়া, উত্তরা, গুলশান এ জায়গাগুলোতেও বুথ থাকবে। বুথগুলোতে সার্বক্ষণিক অফিসাররা থাকবেন। সেই সঙ্গে যারা ইফতার তৈরি করে বিক্রি করে তাদের ডাটাবেজ তৈরি করে রমজানের আগে ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ইফতারকে নিরাপদ করার জন্য পত্র পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে, টিবিসি প্রচার করা হবে, নিরাপদ খাদ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করবো এবং ব্যাপক আকারে লিফলেট বিলি করবো। আশা করি আমাদের সীমিত জনবল নিয়ে নিরাপদ ইফতার নিশ্চিত করা যাবে। এক্ষেত্রে খাদ্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। মোবাইল কোর্ট থাকবে। ধীরে ধীরে আমাদের ব্যাপকভাবে কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়বে। এটার ব্যাপ্তি অনেক বাড়বে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সদস্য ও প্রকল্প পরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার সুরাইয়া সাইদুন নাহারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা।