দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বড় ও ছোট শহরগুলোর বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে দূষণ কিছুটা কমেছে। তাই গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। তবে আজ বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী শহর ঢাকার বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১১৮ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান ১০তম।
অন্যদিকে উগান্ডার কাম্পালা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা যথাক্রমে ১৭৬, ১৭৩ ও ১৫৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।