মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদানসহ বেশ কয়েকটি দাবি আদায় না হওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর তারা তাদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি শুরু করলে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
রানিং স্টাফের মধ্যে আছেন— ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সোমবার রাত ১২টার পর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন , ‘আমরা রেল ভবন থেকে আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানতে না পারায় রেল চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।’
ঢাকা কমলাপুর স্টেশনের দায়িত্বশীল একজন জানিয়েছেন, রাত ১২টার আগের যেসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি সেগুলো রাত ১২টার পরেও ছেড়ে গেছে। তবে রাত ১২টার পরে শিডিউলের কোনো ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়নি।
রানিং স্টাফরা জানিয়েছেন, রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির ফলে যেসব ট্রেন রাত ১২টার পর প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওইসব ট্রেনের যাত্রীরা।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ে কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কারণে এই সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
যোগাযোগ করা হলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত যেসব ট্রেনের সিডিউল ছিল কিন্তু ছাড়তে দেরি হয়েছে। তবে সেসব ট্রেন রাত ১২টার পরেও প্রারম্ভিক স্টেশন ছেড়ে গেছে। সোমবার সিডিউল ফ্রেন্ড সর্বশেষ রাত ১টায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়। অর্থাৎ ১২টার পরে যেসব ট্রেনের সিডিউল ছিল কোনোটাই কর্মবিরতির কারণে ছেড়ে যায়নি। সেসব ট্রেনের যাত্রীদের অনলাইন এবং অফলাইন টিকেটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।