ঢাকামঙ্গলবার , ২১ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

রেলওয়ের জন্য ২০০ টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী বগি সংগ্রহে চুক্তি স্বাক্ষর

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২১, ২০২৪ ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ । ৬০ জন

বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী সেবা বাড়াতে ১ হাজার ২০৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০ যাত্রীবাহী বগি (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কেনার জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল (২০ মে) সোমবার রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের হেড অফ করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারাও।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) এর অর্থায়নে এই প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের এবং দ্রুত গতি সম্পন্ন। এতে বগির ছাদে এসি ছাড়াও অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি থাকবে এবং তা পরিবেশবান্ধব হবে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ে আশা করছে।

রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে ২০১৬টি ক্যারেজ এবং ৩০৯৫টি ওয়াগন রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পদ্মা রেলওয়ে সেতু চালুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলাফলস্বরূপ, দক্ষিণাঞ্চলে নতুন ট্রেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পুরাতন এবং বেশি বয়সী কোচগুলো প্রতিস্থাপন করার জন্য নতুন ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার কোচগুলো প্রয়োজন হবে।’

তিনি বলেন, ‘চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সময় নেই। এটা করলে আমাদের সুবিধা হবে। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারি। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া যায়, তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে।’

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কোচগুলো যুক্ত হলে রেলের গতি বেড়ে যেবে। এতে করে যাত্রীসেবা আরো বাড়বে।

মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।’