ঢাকাবুধবার , ৬ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

লবণ গ্রহণের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব: বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৬, ২০২৪ ৬:২৮ অপরাহ্ণ । ১০৫ জন

হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের এক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, খাদ্যাভ্যাসজনিত অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ হৃদরোগ ও স্ট্রোকসহ উচ্চ রক্তচাপের প্রধানতম কারণ। যা খাবারে লবণ গ্রহণের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে খুব সহজেই কমিয়ে আনা সম্ভব।

আজ (৬ মার্চ) বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘এনগেজিং স্টেকহোল্ডারস ইন ইম্প্রুভিং কার্ডিওভাসকুলার হেলথ ইন বাংলাদেশ থ্রো সোডিয়াম রিডাকশন’ শীর্ষক কর্মশালায় তারা একথা বলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং রিজলভ টু সেভ লাইভস (আরটিএসএল) যৌথভাবে এই কর্মশালাটির আয়োজন করে।

কর্মশালায় কার্ডিওভাসকুলার হেলথ বিষয়ক বৈশ্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন রিজলভ টু সেভ লাইভস (আরটিএসএল)’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী ডা. টম ফ্রিইডেন।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের ফলে বিশ্বে বছরে প্রায় ২০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে এবং প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর চারটিই ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।

ডা. টম ফ্রিইডেন বলেন, শুধুমাত্র খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা হ্রাসের মাধ্যমে হৃদরোগসহ উচ্চ রক্তচাপের জটিলতাসমূহ বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ এবং বহু অকালমৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এর মাধ্যমে সরকারের স্বাস্থ্যখাতের ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পাবে। বাংলাদেশের সামনে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ৩০ শতাংশ সোডিয়াম গ্রহণ হ্রাসের বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ গ্রাম লবণ গ্রহণ করে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত ৫ গ্রামের প্রায় দ্বিগুণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অধিকাংশ প্যাকেটজাত প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিমাত্রায় লবণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; যা হৃদরোগসহ অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। একই সাথে প্যাকেটজাত খাবারে এ ধরণের অতিরিক্ত লবণ প্রতিরোধে প্যাকেজের সামনে সতর্কতা লেবেল (ভৎড়হঃ ড়ভ ঢ়ধপশ ধিৎহরহম ষধনবষ) এবং কোন খাবারে সর্বোচ্চ কী পরিমাণ লবণ ব্যবহার করা যাবে সেই সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান তিনি।ৎ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, সরকার খাবারে সোডিয়াম গ্রহণের মাত্রা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর এবং এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সমন্বয়ে সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃদরোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে একটি জাতীয় কৌশল ও রোডম্যাপ প্রণয়নের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এতে হৃদরোগসহ উচ্চ রক্তচাপের অন্যান্য জটিলতা প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রতিবছর বহু অকালমৃত্যু হ্রাস পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কর্মশালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধ ডা. সাধনা ভগওয়াত, রিজলভ টু সেইভ লাইভসের প্রতিনিধি লিন্ডসে স্টিল, ও নোরা আব্দেল গাওয়াদ বক্তব্য রাখেন।