বাংলাদেশের বর্তমানে সিগারেটের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বিএটিবি এবং জেটিআই নামে দুটি বিদেশী সিগারেট কোম্পানি। ই- সিগারেট নিয়ে নতুন একাধিক কোম্পানি দেশে প্রবেশ করতে চাচ্ছে। এই কোম্পানিগুলো লাভের জন্য প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। সিগারেট কোম্পানিগুলোর এধরনের হীন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। একই সাথে যাতে কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠী শুধুমাত্র সিগারেট কোম্পানিগুলোর লাভের জন্য মানুষের জীবনকে হুমকিতে ফেলতে না পারে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে সরকারের প্রতি জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত বিদ্যমান আইনটি শক্তিশালী করার আহবান জানাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট পক্ষ থেকে এ বিবৃতি পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিটিশরা ব্যবসার অজুহাতে দেশে এসে দুইশত বছর এ দেশের মানুষকে শোষন এবং শাসন করেছে । দুঃখজনক হলেও সত্যি তাদের এই শোষনের অপচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মূলত বাংলাদেশের বর্তমানে সিগারেটের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বিএটিবি এবং জেটিআই নামে দুটি বিদেশী সিগারেট কোম্পানি। ই- সিগারেট নিয়ে নতুন একাধিক কোম্পানি দেশে প্রবেশ করতে চাচ্ছে। এই কোম্পানিগুলো লাভের জন্য প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
বিবৃতিতে আরোও বলা হয়, এ শোষনের যাত্রায় তারা এখনো দেশের আইন প্রণয়ন ও শক্তিশালী করতে বাধা দিচ্ছে। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী তরুণ। শুধুমাত্র মুনাফার জন্য এসকল তরুণদের নেশায় আসক্ত করতে বেপরোয়াভাবে আইন লঙ্ঘন করে কোম্পানিগুলো আগ্রাসী প্রচারণা চালাচ্ছে।
এতে বলা হয়, দেশের ৪৫ টি জেলায় ৯৪৪টি স্থানে ৮ হাজার ১৯টি বিক্রয়কেন্দ্র থেকে ৩২ হাজার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের তথ্য পাওয়া গেছে। আইন লঙ্ঘনে দুটি বিদেশী সিগারেট কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটি) (৯৬%) এবং জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনালের (জেটিআই) (৮৭%) সর্বাধিক সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আইন লংঘনকারী বেপরোয়া কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে অনতিবিলম্বে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটি শক্তিশালী করা জরুরী।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট সিগারেট কোম্পানিগুলোর এধরনের হীন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি যাতে কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠী শুধুমাত্র সিগারেট কোম্পানিগুলোর লাভের জন্য মানুষের জীবনকে হুমকিতে ফেলতে না পারে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে সরকারের প্রতি জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত বিদ্যমান আইনটি শক্তিশালী করার আহবান জানাচ্ছে।