ভারি বৃষ্টিপাত, বন্যা, উৎপাদন স্বল্পতা এবং অপর্যাপ্ত যোগান রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে শাক-সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, “প্রবল বৃষ্টিপাত, বন্যা ও উৎপাদন স্বল্পতা এবংঅপর্যাপ্ত যোগানের কারণে রাজধানীর কাঁচাবাজার গুলোতে শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।”
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে গত দু’মাসে বেশির ভাগ শাক-সবজির দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজধানীর নবাবগঞ্জ ও পলাশী কাঁচাবাজারে বিভিন্ন শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার এই চিত্র পাওয়া গেছে।
কাঁচাবাজার দু’টিতে দেখা যায়, আলু প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা, বেগুন ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, লাউ ১০০টাকা, শিম ৩২০ টাকা, সবুজ শাক-সবজি ১০০ টাকা, মুলা ১৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৮০ টাকা, টমেটো ২০০টাকা, চিচিংগা ৮০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৬০টাকা, কুমড়া প্রতি পিস ৮০ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৬০ টাকা, পুঁইশাক আটি ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ১০০ টাকা, কঁচুরমুখি ১০০ টাকা, বরবটি ১৬০টাকা, মুলা ১০০টাকা, ধুন্দল ১০০টাকা, পেঁপেঁ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, এবং পেঁয়াজ ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। লাল শাকের আটি ৩০ টাকা ও লাউ শাকের আটি ৩০ টাকা দওে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বাজার বিভাগের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম জানান, বর্তমানে শাক-সবজির উৎপাদন কম এবং দেশের ১৩টি জেলায় বন্যার কারণে শাক-সবজির ক্ষেতগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সরবরাহ কমে যাওয়ায় শাক-সবজির দাম বেড়ে গেছে। আমরা আশা করছি যে, আগামী মাসে শাক-সবজির দাম কমে আসবে।
তিনি আরও জানান, কৃষি বাজার বিভাগের পক্ষ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, পেঁপেঁ, করলা, পটল, কাঁচা মরিচ, কচুরমুখি, আদা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
নবাবগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সবুজ জানান, বন্যা এবং কম সরবরাহের কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে। তিনি জানান, তিনি পাইকারি বাজারের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে সবজি বিক্রি করছেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার থেকে তিনি সবজি ক্রয় করেন বলেও জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে সবজির উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ফলে বাজারে শাক-সবজির দাম বেড়ে গেছে।
সবজি বিক্রেতা মো. শফিক জানান, প্রতিটি শাক-সবজির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি পলাশী বাজারে সবজি বিক্রি করেন।
সবজি কিনতে আসা জিল্লুর রহমান জানান, দুর্মূল্যের বাজারে জীবন-ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। তিনি এক কেজি কাকরোল ১২০ টাকায় এবং এক কেজি লাউ শাক ১০০ টাকায় পলাশী বাজার থেকে কিনেছেন।
সবজি বিক্রেতা নিজাম এবং মামুন জানান যে প্রতিটি সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে।