ঢাকাবুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য

শিল্পখাতকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে স্থানান্তরের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ । ১৫ জন

দেশের শিল্পখাতকে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানির দিকে স্থানান্তরে সহযোগিতা করতে ব্যবসায়ী সমাজ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আয়োজিত সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম (এসএএফ) ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘গত দুই বছরে জ্বালানি সরবরাহের ঘাটতির কারণে শিল্পখাত সংকটে পড়েছে। শিল্প ও দেশের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি। এছাড়া বাংলাদেশ পানিসমৃদ্ধ দেশ হলেও শিল্পাঞ্চলগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে, যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ কারণে সরকার শিল্পখাতে পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে চার্জ আরোপের পরিকল্পনা করছে ও পুনর্ব্যহারের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, “দেশের পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে ‘সস্তা শ্রম’ শব্দটি আমাদের শব্দভাণ্ডার থেকে মুছে ফেলা উচিত। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়েরই সমান দায়িত্ব নিতে হবে। এছাড়া পোশাক শিল্প জ্বালানি ও পানি-নির্ভর এবং রাসায়নিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই দায়িত্বশীল উৎপাদন নিশ্চিত করতেই হবে।’

সাসটেইনেবিলিটির ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘শুধু গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সর্বোচ্চ পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা থাকার অর্থ এই নয় যে, শিল্পখাত টেকসইভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’

রাসায়নিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার জার্মানির সহযোগিতায় একটি কেমিকেল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুল প্রণয়নের কাজ করছে। যা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।’

জাতীয়ভাবে অনুমোদিত রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন পরিবেশ উপদেষ্টা, যা পরিবেশ ও শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে জানান তিনি।

তিনি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশের পোশাক খাত টেকসই ও দায়িত্বশীলভাবে পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্বশীল অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চাই যা নতুন টেকসই মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কারস্টেনস ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।