ঢাকাবুধবার , ৩ জানুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

শ্বাসকষ্ট মানেই কি হাঁপানি

পাবলিকহেলথ ডেস্ক
জানুয়ারি ৩, ২০২৪ ২:১৪ অপরাহ্ণ । ২৫৪ জন

শ্বাসকষ্ট আসলে কী ও কেন হয়? আমরা যে প্রতি মুহূর্তে শ্বাস নিচ্ছি, নিশ্বাস ছাড়ছি, তা কিন্তু টের পাই না। একমাত্র যদি ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস হয় বা গতি বেড়ে যায় কিংবা শ্বাসের সঙ্গে বাতাস প্রবেশ করতে অসুবিধা হয়, তবেই তা কষ্ট হিসেবে অনুভূত হয়।

শ্বাসকষ্টের কারণ
শ্বাসকষ্টের অন্যতম কারণ হাঁপানি। তবে—

শুধু শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বা ঠান্ডা লাগলেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।

স্থূল ব্যক্তিদের অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়।

সাইনোসাইটিস, হার্ট ফেলিওর, নিউমোনিয়া, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ছাড়াও বহুবিধ কারণে শ্বাসকষ্টের অনুভূতি হতে পারে।

আবার জ্বরসহ বেশ কিছু রোগেও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দহন বা মেটাবলিজম বেড়ে যাওয়ার জন্য নিশ্বাসের হার বেড়ে যায়।

হাইপার ভেন্টিলেশন সিনড্রোমের কারণটা যদিও খুব স্পষ্ট নয়, তবে এর সঙ্গে উৎকণ্ঠা আর ভয় পাওয়ার রোগের (প্যানিক ডিসঅর্ডারের) সম্পর্ক আছে।

করণীয়
শ্বাসকষ্ট থেকে আরাম পেতে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যায়—

ধূমপান পরিহার করুন। পরোক্ষ ধূমপানও শ্বাসকষ্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই নিজের ঘরে বা আশপাশে অন্যদের ধূমপান করা থেকে বিরত রাখুন।

হাঁপানি (অ্যাজমা) থাকলে চিকিৎসা করান। হার্টের রোগ আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করুন।

অ্যালার্জি থাকলে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এমন বস্তু (যেমন ধুলাবালু) ও খাবার (যেমন গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, বাদাম ইত্যাদি) এড়িয়ে চলুন।

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে।

ঘর গোছানোর সময় বা বাইরে গেলে ডাস্ট মাস্ক পরুন।

বেশি পশমওয়ালা পশুর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

ঘরবাড়ি সব সময় পরিষ্কার ও ধুলামুক্ত রাখুন।

অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হলে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন।