সাড়ে চার বছর বন্ধ থাকার পর চিলমারীর রমনাবাজার রেল স্টেশনে ফিরল রমনা লোকাল ট্রেন। উপজেলার বালাবাড়ি ও রমনা স্টেশনে থামবে পার্বতীপুর-চিলমারী রুটে চলা এই ট্রেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে খুশি এ অঞ্চলের মানুষ।
রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাবেক সভাপতি ও শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি নাহিদ হাসান বলেন, আগে রমনা রেলপথে ৪টি লোকাল ট্রেন চলত। দীর্ঘ সময় পর একটি ট্রেন চলাচল শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে বাকি ৩টি ট্রেনও চালু হবে বলে আশা করছি।
চিলমারীতে ১৯৬৭ সালের দিকে ট্রেন চালু হয়। ১৯৭৭ সালের দিকে রমনা স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হয়ে ৪টি ট্রেন চলাচল করে আসলেও হঠাৎ করে দুটি বন্ধ হয় এবং দুটি লোকাল ট্রেন চলাচল থাকে। পরবর্তীতে করোনাকালে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপুরের উদ্দেশে লোকাল ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। বিভিন্ন সংকট দেখিয়ে অজ্ঞাত কারণে ট্রেনটি বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
পরে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটিসহ স্থানীয়দের দাবির মুখে ২০২২ সালের ১ মার্চ থেকে কর্তৃপক্ষ কমিউটার ট্রেন চালু করে। কিন্তু পূর্বের লোকাল ট্রেনটির চালুর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আবারও দাবি তোলেন রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি ও স্থানীয়রা।
অবশেষে প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর লোকাল ট্রেনটি চালু হলো। দীর্ঘ সময় পর লোকাল ট্রেনটি ফিরে আশায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে জনসাধারণের মাঝে।
রমনা স্টেশন এলাকার আব্দুর রহিম ও মুকুল বলেন, এই স্টেশনে আবার লোকাল ট্রেনের হুইসেল বাজল। রেলপথে যাতায়াতসহ পণ্য আনা নেওয়া থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। এখন আর বঞ্চিত থাকবে না উত্তরের মানুষ।
ব্যবসায়ীরা বলেন, চিলমারী বন্দরের কাজ শুরু হলে রেলপথের গুরুত্ব অনেক গুণ বেড়ে যাবে। এজন্য তারা রেলপথের মেরামতসহ দ্রুত বাকি লোকাল ট্রেনসহ আন্তঃনগর ট্রেন চিলমারী পর্যন্ত চালুর দাবি জানান।
লোকাল ট্রেন চালু ও রমনা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট মো. আব্দুস সালাম বলেন, দ্রুত রেল লাইন সংস্কার করে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে সুবিধাজনক সময় এবং আয়ের দিক লক্ষ্য করে আরও ট্রেন চালু করা হবে।
আগের মতো সব ট্রেন চালু হলে চিলমারী, রৌমারী, রাজীবপুরসহ বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণসহ শিক্ষার্থীরা উপকার পাবে।