ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে ৮৮৭টি সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ থাকতে পারবে বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে ৮৮৭টি সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ থাকতে পারবে। এতে শিশু খাদ্য, শুকনো খাদ্য, সুপেয় পানিসহ জরুরি ত্রাণ, জিও ব্যাগ ও ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলার সব দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সাতক্ষীরায় প্রায় ৭০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এই মধ্যে ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের চেষ্টা চলছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। উপকূলবর্তী এলাকায় নদীর পানি বাড়বে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ভারতের দিকেই এগুচ্ছে। ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব সাতক্ষীরা অঞ্চলে ফেলবে না, তবে ঝড়ো বাতাস বইবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৮৮৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।