আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ, ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ৩৩ শতাংশ, ১৯ শতাংশ, ১৫ শতাংশ, এবং ১৩ শতাংশ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। আজ (বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪) ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেটে সিগারেটের ওপর কার্যকর করারোপ জাতীয় সংলাপ আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানিয়েছেন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে আলোচনা সভায় আলোচনা করেন- সাবেক মন্ত্রী ড. এম এ মান্নান, এমপি, মুহাম্মদ আফতাব উদ্দিন সরকার, এমপি (নীলফামারী ০১), ফেরদৌস আহমেদ এমপি(ঢাকা ১০), জারা জাবীন মাহবুব এমপি( মহিলা আসন ৭), মো,আব্দুর রশিদ এমপি ( জামালপুর ০৪), সাহাদারা মান্নান এমপি(বগুড়া ০১) মো,আসাদুজ্জামান আসাদ এমপি(রাজশাহী ০৩) খাদিজাতুল আনোয়ার এমপি(চট্টগ্রাম ০২) মো, শফিকুল ইসলাম এমপি(সিরাজগঞ্জ ০৪)
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান সভাপতিত্বে এই আলোচনায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এসএম জুলফিকার আলী(রিসার্চ ডিরেক্টর,বিইইটিসি ফোরাম), ড. নাজমুল ইসলাম ( বুয়েট), ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী (ডিন,ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়)। উন্নয়ন সমন্বয়-সহ আরও কয়েকটি তামাক-বিরোধী সংগঠনের পক্ষে সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী।
মো,আফতাব উদ্দিন সরকার , এমপি এবং আব্দুর রশিদ, এমপি নিম্ন আয়ের মানুষ এবং কিশোর-তরুণদের সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেটে সিগারেটের খুচরা মূল্য বাড়ানো এবং এগুলোর ওপর বেশি বেশি করারোপের পক্ষে মত দেন।
এসডিজি-সহ জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি, আর সে জন্য সিগারেট ব্যবহার কমাতে বাজেটে যথাযথ উদ্যোগ থাকা বাঞ্ছনীয় বলে অভিমত দেন- ফেরদৌস আহমেদ , এমপি এবং জারা জাবীন মাহবুব , এমপি। তাদের বক্তব্যে সিগারেট বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণের চেয়ে সিগারেটের কারণে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির দিকে বেশি নীতি-মনোযোগ কাম্য বলে মন্তব্য করেন।
ড. আতিউর রহমান বলেন যে, সিগারেটে কার্যকর করারোপই এই ক্ষতিকারক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এ কারণেই দেশের তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলো সিগারেটে কার্যকর করারোপের পক্ষ অবস্থান নিয়েছে। তবে সিগারেট ব্যবহার কমলেও যেন সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় চাপ না পড়ে- সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।
এই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে একদিকে সিগারেট ব্যবহারের হার ৯ শতাংশ কমবে, অন্যদিকে সিগারেট বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বাড়বে বলে জানান তিনি।