ঢাকাবুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

সিরাজগঞ্জে পেঁয়াজ-রসুন বীজের সংকট, মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২০, ২০২৪ ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ । ৩০ জন

সিরাজগঞ্জে মৌসুমি পেঁয়াজ ও রসুনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। নানা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন কৃষকরা। তবে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন বীজের সংকট ও দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। এতে পেঁয়াজ ও রসুনের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবার জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে পেঁয়াজ ১ হাজার ৮৫ হেক্টর ও রসুনের ৯০০ হেক্টর জমি ধরা হয়েছে।

ইতোমধ্যেই কৃষকেরা লাভজনক পেঁয়াজ রসুন চাষাবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন হাট-বাজারে এর বীজ সংকট ও মূল্য বাড়তে থাকায় কৃষকেরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে হাট-বাজারে হাইব্রিড পেঁয়াজের বীজসহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের বীজ গড়ে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ও রসুনের বীজ ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও বাজারে এসব বীজের সংকটও রয়েছে।

সবচেয়ে বেশি এ চাষাবাদ হয়ে থাকে জেলার চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ করছে। তবে চলনবিল এলাকায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বীজের দাম বেশি থাকায় এ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ১ বিঘা জমিতে রসুন চাষাবাদে প্রায় ৩০ হাজার এবং পেঁয়াজ চাষাবাদে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এ চাষাবাদে বীজের দাম বেশি থাকায় অনেক কৃষক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি তাদের। তারা বলছেন, ভরা মৌসুমে এ দুই ফসলের বীজের মূল্য বৃদ্ধি ও সংকটের সৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদে অনেক কৃষক বিপাকে পড়েছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আ. জা. মুহাম্মদ আহসান শহিদ সরকার বলেন, ‘এ চাষাবাদে উৎসাহিত করতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের বীজের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বীজ সংকটের বিষয় এখনও জানা যায়নি। এ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হলে কৃষকরা লাভবান হবে। এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।