সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে একটি সড়কের কারণে বোরো ধানের আবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে বোরো ফসল নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছে দুই গ্রামের শতাধিক কৃষক পরিবার। বৃহস্পতিবার(২ জানুয়ারি) এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র বরারব একটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রের তথ্য ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রৌয়াইল গ্রামের পারুয়া হাওরে এখনও পানি থাকায় চলতি বোরো ধানের চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। গত বছরের চৈত্র মাসে স্থানীয় এলজিইডি’র আওতাধীন রৌয়াইল হিলালপুর পাবসস লিমিডেট নামের একটি সমবায় সমিতির উদ্যোগে হাওরের পাশ দিয়ে বালিশ্রী পনাচাতল সড়ক তৈরি করা হয়। সড়ক নির্মাণের সময় হাওরের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে হাওর থেকে এখনও পানি নামেনি। যে কারণে বোরোর ভরা মৌসুমে চাষাবাদ করতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চাষিরা।
রৌয়াইল গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন জামাল বলেন, বোরো আবাদের উপযুক্ত সময় এখন। কিন্তু হাওরে এখনও হাঁটু সমান পানি থাকায় বোরো ধানের চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। এ কারণে বোরো ফসল নিয়ে রৌয়াইল ও আলমপুর গ্রামের শতাধিক কৃষক পরিবারে চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরেক কৃষক সমুজ মিয়া বলেন, সড়ক নির্মাণের সময় পানি নিস্কাশনের পথ রাখা হয়নি, এজন্য হাওরে পানি আটকে আছে। আমরা বারবার পাবসস লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাইনি। এজন্য বাধ্য হয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছি।
রৌয়াইল হিলালপুর পাবসস লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মোতাহের আলী নুনু জানান, হাওরের পানি নিস্কাশনের জন্য যে জায়গায় কালভার্ট নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেই জায়গাটি শুকিয়ে গেছে। তবে আমরা কৃষকদের বলেছি, হাওর ও কৃষকদের বাঁচাতে আপনারা যে উদ্যোগ নেবেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বরকত উল্লাহ জানান, অভিযাগপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা এলজিইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলজিইডি কর্মকর্তা সোহবার হোসেন জানান, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।