ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য

সুন্দরবনে ছাড়া হলো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো আরেকটি কুমির

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৮, ২০২৫ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ । ৭ জন

জীবনাচরণ সম্পর্কে জানতে সুন্দরবনে ছাড়া হলো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো আরেকটি কুমির। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের চরাপুটিয়া খালে অবমুক্ত করা হয় কুমিরটি।

এ নিয়ে ৫টি কুমিরের পিঠে ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হলো। এর আগে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ৪টি কুমিরের পিঠে ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয়। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশে এই প্রথম কুমিরের জীবনচারণ জানতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে বলে জানায় বন বিভাগ।

বন বিভাগ জানিয়েছে, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার যুক্ত করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা কুমিরটির জন্ম হয়েছে ১২ বছর পূর্বে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে। স্ত্রী প্রজাতির কুমিরটির দৈর্ঘ ৭ ফুট ও ওজন ২০ কেজি।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, বন বিভাগ ও আইইউসিএনের (প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট) সহযোগিতায় সুন্দরবনের নদী-খালে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে চারটি কুমির অবমুক্ত করা হয়। ট্রান্সমিটার যুক্ত ৪টি কুমির থেকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর রিডিং সংগ্রহ করা হচ্ছে। অ্যাপসের মাধ্যমে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, কুমিরের পিঠে স্থাপন করা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে কুমিরের চলাফেরা, খাদ্যাভ্যাস, হোমরেঞ্জ, বাসস্থানসহ নানা ধরণের তথ্য জানা যাবে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক কুমিরের তথ্য আসবে তাদের সেন্টারে। অ্যাপসের মাধ্যমে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে। পরীক্ষামুলকভাবে আগামী এক বছর ধরে এই কার্যক্রম চলবে।

বন বিভাগের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া ২০৯টি কুমির সুন্দরবনের নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়। বর্তমানে প্রজনন কেন্দ্রে ছোট-বড় মিলে ১০৩টি কুমির রয়েছে।