ঢাকামঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • অন্যান্য

সুপ্রিম কোর্টে সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগে আইডিআরএ’র আদেশ বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১:০৯ অপরাহ্ণ । ১৮৯ জন

সোনালী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ সাসপেন্ড করে প্রশাসক নিয়োগে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের চেম্বারে শুনানি শেষে এই আদেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে পূণার্ঙ্গ শুনানি করে বিষয়টির নিষ্পত্তির আদেশ জারি করেছেন আদালত।

সোনালী লাইফের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয় অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ফেরদৌস, এনডিসি, পিএসসিকে।

এ আদেশের ফলে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বোর্ড স্থগিত ও প্রশাসক নিয়োগে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র দেয়া আদেশ কার্যকর থাকছে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পরিচালক ও মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে চলতি এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ থেকে সোনালী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করে প্রশাসক নিয়োগ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। সংস্থারটির পরিচালক (উপসচিব) আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত ১৮ এপ্রিল এ তথ্য জানানো হয়।

আইডিআরএ’র আদেশের বিরুদ্ধে একদিন পর হাইকোর্টে একটি রিট (নং-৪৫১৯/২০২৪) করেন বীমা কোম্পানিটির বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান। রিটের শুনানি শেষে আদালত আইডিআরএ’র আদেশে ৬ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে চেম্বার জজের আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে পুনরায় রিট আবেদন করা হয়। আদালতে আইডিআরএ’র বক্তব্য শুনানি করে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) এই আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল এক চিঠিতে সোনালী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ সাসপেন্ড করে কেন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে না তার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। ৫ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে ১৮ এপ্রিল কর্তৃপক্ষে আয়োজিত এ সংক্রান্ত শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

এর আলোকে গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত শুনানিতে অংশ নেন সোনালী লাইফের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। তবে এর আগের দিন ১৭ এপ্রিল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩ জন পরিচালক পদত্যাগ করেন। এরা হলেন- আহমেদ রাজিব সামদানী, হুদা আলী সেলিম ও হাজেরা হোসেন।

প্রসঙ্গত, সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষ বীমা কোম্পানিটির কার্যক্রম এমনভাবে পরিচালনা করছে যে, এতে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে কোম্পানি ও বীমা গ্রাহকদের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। এর আগে সোনালী লাইফের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অডিট ফার্ম হুদাভাসী চৌধুরী এন্ড কোং-কে নিরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওই তদন্তে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ উঠে আসে।