সোনালু বা বান্দর লাঠি একটি মাঝারি আকারের দেশীগাছ। যেমন সোনালি ফুলে উপচে পড়া নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে তেমনি আছে বহু ভেষজ গুণ! বর্তমানে এটি শোভাবর্ধক বৃক্ষ হিসেবেও পরিচিত। এদের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Cassia fistula. প্রাচীনকাল থেকেই এই উদ্ভিদটির ঔষধ হিসাবে ব্যবহার রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট, ২০২৩ তারিখে) জয়পুরহাটে- গ্রীন এন্ড ক্লিন জয়পুরহাট এবং সবুজনগর কমিউনিটি ক্লাবের উদ্যোগে পৌর কমিউনিটি সেন্টার হতে পাঁচুরচক সড়কের মাঝামাঝি দুইপাশে, শতাধিক সোনালু গাছ রোপণ করে। এতে ঐ এলাকার এক ঝাঁক তরুণ অংগ্রহণ করে।
এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীর উদ্যোক্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান জানান- শহরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পরিবেশ উন্নয়ন কাজে আমাদের সবুজ নগরের এক ঝাঁক তরুণদের সম্পৃক্ত করে সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়ার অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম।
দেশী গাছ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আন্দোলন (DTBCM) এর উদ্যোক্তা রতন মণ্ডল এই সোনালু গাছ রোপন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে বলেন- বানরলাঠির ফল মজ্জা একটি অতি উৎকৃষ্ট জোলাপ। তাই এটি কোষ্ঠবদ্ধতায় (বিশেষ করে বৃদ্ধকালের), শূল বেদনায়, অগ্নিমান্দ্য(শ্লেষ্মা প্রধান), প্রভৃতি রোগে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া উদরী রোগ, ক্ষার মেহে, যক্ষা রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্য, আমবাতসহ শিশু ও দুর্বল প্রকৃতির রোগীদের জন্য, পাতা, ছাল, ফল, ফলের মজ্জা উত্তম ও অব্যর্থ ব্যবহার হয়।
গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে গ্রামে বনে জঙ্গলে একসময় অনেক সোনালু গাছ চোখে পড়তো। এছাড়াও হাট, বাজার ও গঞ্জের চারপাশেও দেখা যেত হলুদিয়া সাজের সোনালুর উপস্থিতি। এখন হাতেগোনা কিছু গাছ দেখা যায় পথে প্রান্তরে। দিন দিন কমে আসছে সোনালুর সংখ্যা। রূপে গুণে সোনাঝরা বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় এই গাছ রোপণের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা অত্যন্ত আবশ্যক!