দেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করব। রাতারাতি না পারলেও এ খাতকে আরও উন্নত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ‘শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের’ জন্য যা যা করা দরকার তা সব করা হবে এমন আশ্বাসের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সব হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের ঘাটতিও কমানো হবে।
বুধবার (২৬ জুন) ঢাকায় ‘শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি ১০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ’ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের আরবান হাসপাতালগুলোতে যদি ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার ব্যবস্থা রাখা যায়, তাহলে বড় বড় রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু একটি আতঙ্কের নাম তাই এর চিকিৎসার জন্য দেশের প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। তবুও এটি যেন না নয়, সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে একই অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অতি দ্রুত এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত জনবল, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ মানস্মমত সেবা দেয়ার জন্য যা যা দরকার, সেসব নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
এ অনুষ্ঠানে মেয়র ফজলে নূর তাপস ছাড়াও ঢাকা-১০ এর সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।