মহাসড়কে নিরাপদ ও মৃত্যুর মিছিল থামাতে ফরিদপুরে যানবাহনের ফিটনেস টেস্টের পাশাপাশি চলছে চালকদের ডোপটেস্টসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা। রবিবার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মুন্সিবাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে বিআরটিএ, সিভিল সার্জনের চিকিৎসক টিম ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
এসময় বিভিন্ন গাড়ির কাগজপত্র, চালকদের ডোপটেস্ট ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
‘বেপরোয়া নয়, গতিসীমার মধ্যে গাড়ি চালান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করুন’ এই স্লোগান সামনে রেখে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির কাগজপত্র যাচাইয়ের পাশাপাশি করা হচ্ছে চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এসময় চালকদের রক্তচাপ ও ডায়াবেটিক পরীক্ষার পাশাপাশি ডোপটেস্টও করা হয়।
অভিযানে দুই ট্রাকচালকের ডোপটেস্ট রেজাল্ট পজেটিভ পাওয়া যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুরের বিভিন্ন মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গাড়ির ফিটনেস চেকের পাশাপাশি চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, নেশাগ্রস্ত ও অসুস্থ চালকরা গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এসময় বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষার করার সঙ্গে চালকদের প্রেসার মাপা, ডায়াবেটিক টেস্ট ও ডোপটেস্ট করা হয়। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন অনিয়মে ৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। এছাড়া ডোপটেস্ট পজিটিভ থাকায় দুজন গাড়ি চালককে আটক করে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় এবং ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বিআরটিএ’র পরিদর্শক এনামুল হক ইমন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিনসহ আরও অনেকে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, আমরা ফরিদপুরের মহাসড়কগুলোতে মৃ্ত্যুর মিছিল থামাতে চাই। যেহেতু এই অঞ্চল দুর্ঘটনা প্রবল, সে কারণেই আমরা ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান অব্যাহত রাখব।