ঢাকাসোমবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১২ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৮, ২০২৪ ৫:৫৯ অপরাহ্ণ । ৩১ জন

সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দুদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-১২ টাকা। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা। তবে বর্তমানে ভারত ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ থেকেও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকায় দাম খুব বেশি বাড়বে না বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় জানায়, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ইন্দোর ও বেলোরি এ দুই জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দুদিন আগেও প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৯৫ টাকা হয়েছে। আর দক্ষিণি জাত বেলোরি আগে ৯৫ টাকায় বিক্রি হলেও দুদিনের ব্যবধানে এটি বিক্রি হচ্ছে ১০২ টাকা দরে।

ক্রেতারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার ইন্দোর ও বেলোরি জাতের পেঁয়াজ কিনেছি ৮৫ টাকা ও ৯০ টাকা দরে। একই পেঁয়াজ গত শনিবার বিক্রি হয়েছে ৯৫ ও ১০২ টাকায়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলেন, ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকাগুলোয় সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও বন্যার ফলে দেশটির বাজারেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে আমাদের বাড়তি দামে ও চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দেশের বাজারে পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী। সেই সঙ্গে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদাও বেড়েছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার এটিও একটি কারণ।

তবে অপর্যাপ্ত হলেও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত। তাছাড়া মিসর, পাকিস্তান, তুরস্ক ও চীন থেকেও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। ফলে পণ্যটির দাম খুব বেশি বাড়ার কথা নয়।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘বন্দর দিয়ে নিয়মিত পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। আমদানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পণ্যের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে, যেন তারা অল্প সময়ে পেঁয়াজ খালাস করে নিতে পারেন।’