দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন শুল্কায়নে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজের দাম শিগগির কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এসোয়েশনের সভাপতি মো.ফেরদৌস রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পযন্ত নতুন শুল্কায়নে ভারতীয় ৪টি ট্রাকে ১২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে।
দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ এবং রপ্তানিমূল্য টন প্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কিন্তু ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি কাস্টমস সার্ভারে সংযুক্ত না হওয়ায় গত ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর এই দুই দিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। গতকাল ভারতের সার্ভারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি সংযুক্ত হওয়ায় সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি পেঁয়াজ শুরু হয়েছে। সেই সাথে বাড়বে পেঁয়াজ আমদানি, কমবে দাম, এই প্রত্যাশা আমদানি-রপ্তানি কারক দেশি ব্যবসায়ীদের।
এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর গত মার্চ মাসে অনির্দিষ্ট কালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেওয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় ৫ মাস পর গত ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ভারত সরকার।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানি-কারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমে আসবে বলে তারা আশা করছেন। ফলে পিয়াজের দাম বাজারে অনেকাংশে কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, হিলি স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কারক ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ফলে গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে আরো ৪ জন ব্যবসায়ী এল সি খুলেছেন। এসব পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করলে পেঁয়াজের বাজার দর নিয়ন্ত্রনে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।