আঞ্চলিক বিমান চলাচল বাজারে প্রতিযোগিতায় নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে। ২০৩৪ সাল নাগাদ আরো ৩২টি নতুন বিমান যোগ করে মোট ৪৭টি উড়োজাহাজের বহরে উন্নীত করা হবে। এক মাস আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজধানীর বলাকায় বিমানের সদর দফতরে গণমাধ্যমের সাথে প্রথম আলাপকালে বিমান বাংলাদেশের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাহিদ ইসলাম ভূঁইয়া এই পরিকল্পনার কথা জানান।
নতুন সিইও বলেন,২০৩৪ সালের মধ্যে বিমানের বহরে ৪৭টি উড়োজাহাজ থাকবে। বিদ্যমান ২১টি বিমান থেকে পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়া হবে। অতএব, পরিকল্পনামাফিক এই সম্প্রসারণের জন্য আমাদের আগামী দশকে ৩২টি নতুন বিমান যোগ করতে হবে। লক্ষ্য পূরণে ও জাতীয় ক্যারিয়ারের রুট পরিচালনায় সক্ষমতা বাড়াতে আগামী দশ বছরের সম্প্রসারণ কৌশলের অংশ হিসেবে এয়ারলাইন্সটিকে নতুন বিমান ক্রয় করতে বা ভাড়া নিতে হবে। এয়ারবাস বা বোয়িং থেকে সম্ভাব্য ক্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ভূঁইয়া এয়ারলাইন্সের প্রয়োজনের জন্য বৃহৎ নির্মাতা কোম্পানির দু’টির সহযোগিতার প্রয়োজন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন।
জাহিদ ইসলাম বলেন, “এয়ারবাসের সাথে আলোচনা এগিয়েছে, আর বোয়িংও একটি প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের উচ্চ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিমান ক্রয়ে একটি কোম্পানির যথেষ্ট নাও হতে পারে।” তিনি জানান, চলতি অর্থ বছরে শুধুমাত্র কার্গো থেকে ১,২০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে।
ট্রাভেল এজেন্টদের দ্বারা টিকিটের অব্যবস্থাপনার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিইও এসব সমস্যা সমাধানে বিমানের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লক্ষ্য আসন খালি থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার সমস্যা শতভাগ সমাধান করা।’ সিইও পুনর্ব্যক্ত বলেন, জাতীয় ক্যারিয়ারটিতে আসন খালি থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার সমস্যা সৃষ্টিতে দায়ি সিন্ডিকেট নির্মূল করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বদ্ধপরিকর।