৩০৫ বর্গ কিলোমিটারের ঢাকা শহরে মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, যেখানে প্রতিবর্গ কিলোমিটারের ৩০০ থেকে ৮০০ মানুষ বাস করে। সবচেয়ে বেশি ঘনবসতি পুরান ঢাকা এলাকায়। ব্রিটিশ টপোগ্রাফিক সার্ভে অনুযায়ী, ১৯২৪ সালে পুরান ঢাকা বা আদি ঢাকা অথ্যাৎ শাহবাগ থেকে চর কামরাঙ্গী পর্যন্ত ১২০ টি পুকুর ছিল। কিন্তু দখল ও দূষণের কারণ গেল ১’শ বছরের হারিয়ে গেছে ৯৬ টি। টিকে আছে মাত্র ২৪ টি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স আয়োজিত ‘২৮ বছরের রাজধানীর জলাধার ভরাট এবং সবুজ নিধন: বাস্তবতা এবং উত্তরণের পথনকশা’ শীর্ষক গবেষণা এসব তুলে ধরেন পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। কিন্তু বেশিরভাগ পুকুর ছোট হওয়ায় এগুলো দ্রুত ভরাট করে ভবন নির্মাণে একের পর পর পুকুর হারিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। যদিও স্বাভাবিকভাবে একটি শহরের ১০ থেকে ১২ শতাংশ জলাভূমি থাকা দরকার।
বর্তমানে যে ২৪ টি পুকুর টিকে আছে সেগুলোও হুমকীর মুখে দখলবাজদের কারণে। সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া না হলে এসব পুকুরও হারিয়ে যাওয়া শংকা রয়েছে বলে জানান পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুকুরসহ জলাধার না থাকায় একদিকে ঢাকার তাপমাত্রা দ্রুত গতিতে বাড়ছে ।
অন্যদিকে পানির উৎসগুলো ভরাট হওয়ায় অগ্নি দূর্ঘটনায় পানি সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে। তাই জনস্বার্থে পুরান ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় অনতিবিলম্বে টিকে থাকা পুকুরগুলো সংস্কার করে দখলমুক্ত রাখার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স।